• ইউয়েফা সুপার কাপ
  • " />

     

    এলেন, গোল পেলেন, শিরোপা জিতলেন এমবাপে

    এলেন, গোল পেলেন, শিরোপা জিতলেন এমবাপে    

    ফুল টাইম রিয়াল মাদ্রিদ ২-০ আটালান্টা


     

    রিয়াল মাদ্রিদকে ঘিরে তাকে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি; অবশেষে স্বপ্নের ক্লাবে আসা কিলিয়ান এমবাপে অভিষেকেই যেন বুঝিয়ে দিলেন কেন রিয়াল মাদ্রিদের মতো একটা ক্লাব তাকে পাওয়ার জন্য এতো মরিয়া ছিল। ইউয়েফা সুপার কাপ দিয়েই রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অভিষেক হল তার; গোল তো পেলেন বটেই, সেই সাথে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েই পেলেন ইউয়েফার ক্লাব শিরোপার স্বাদ।

    শিরোপার লড়াইয়ে লেভারকুসেনকে তাক লাগিয়ে ইউরোপা জেতা আটালান্টা শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের চোখে চোখ রেখেই লড়ছিল। আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের খেলায় সেটা করতে গেলে অবশ্য ১২ মিনিটের মধ্যেই দুটো কার্ড দেখে বসে ইতালির ক্লাবটা। ১৫ মিনিটের মাথায় গিয়ে প্রথম সুযোগ তৈরি করে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এমবাপের শট প্রতিহত হলে আটালান্টার প্রতি আক্রমণ থামিয়ে কারভাহালের বাড়ানো দারুণ এক ক্রসে ভিনিসিয়াস সেই যাত্রায় পা লাগাতে পারেননি। তবে এরপর দুই দলই আক্রমণের ধার কমিয়ে মাঝমাঠের দখল নেওয়ার দিকে মনোযোগ দিলে খেলার গতিও কমে আসে। মাঝে রেফারি বাঁশি বাজানোর পরও গোলমুখে শট নেওয়ায় হলুদ কার্ড দেখে বসেন জুড বেলিংহাম। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দারুণ এক প্রতি আক্রমণ থেকে গোলের দেখা প্রায় পেয়েই গিয়েছিল আটালান্টা। কোর্তোয়ার দুর্দান্ত সেইভে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীরা। নড়েচড়ে বসে বলের দখল নিতে থাকা রিয়াল মাদ্রিদকে অবশ্য এরপর বেশিক্ষণ দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। একজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বের হয়ে গিয়ে চতুরতার সাথে ভালভের্দের দিকে বল বাড়িয়ে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সেখান থেকে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি উরুগুয়ের মিডফিল্ডার। পরের মুহূর্তেই মুসো বাধ না সাধলে নিজেই গোল পেতে পারতেন ভিনিসিয়াস। আটালান্টার আক্রমণের সময় বল ছিনিয়ে নিয়ে এরপর আরেকটি গোলের রাস্তা খুলে দেন রদ্রিগো। ৬৮ মিনিটের মাথায় এরপর তিনি এমবাপের পাতে বল তুলে দিলে সেখান থেকে গোল বের করতে কোনো সমস্যা হয়নি এমবাপের।