• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    আবারও ভাল শুরু তামিমের, ভিসাময় ম্যাচের পর প্রথমবার ফাইনালে লাহোর

    আবারও ভাল শুরু তামিমের, ভিসাময় ম্যাচের পর প্রথমবার ফাইনালে লাহোর    

    লাহোর কালান্দারস ১৮২-৬, ২০ ওভার (ভিসা ৪৮, ফাখার ৪৬, তামিম ৩০, আফ্রিদি ২/১৮, ইলিয়াস ১/১৭)
    মুলতান সুলতানস ১৫৭ অল-আউট, ১৯.১ ওভার (লাইথ ৫০, খুশদিল ৩০, ভিসা ৩/২৭, রউফ ৩/৩০, শাহিন আফ্রিদি ২/৩৬)
    লাহোর ২৫ রানে জয়ী 


     

    প্রথমে ২১ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসে লাহোরকে নিয়ে গেলেন ১৮২ রান পর্যন্ত। ডেভিড ভিসা সেখানেই থামলেন না, বোলিংয়ে এসে ২৭ রানে নিলেন ৩ উইকেট, যার মাঝে আছে ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা অ্যাডাম লাইথেরটিও। এরপর বাউন্ডারিতে নিলেন একটি দুর্দান্ত ক্যাচ। ভিসাময় ম্যাচে মুলতানকে হারিয়ে পিএসএলে প্রথমবারের মতো ফাইনালে চলে গেছে লাহোর। এদিনও ওপেনিংয়ে ভাল শুরু করা তামিম ইকবালের সামনেও তাই লাহোরের মতোই প্রথম শিরোপার হাতছানি, এর আগে তিন মৌসুম খেললেও ফাইনাল খেলছেন তিনি প্রথমবার। মঙ্গলবার রাতের সেই ফাইনালে করাচি কিংসের মুখোমুখি হবে লাহোর কালান্দারস।

    দুই দলের সামনেই ছিল প্রথমবারের মতো ফাইনালের সুযোগ। সেখানে টসে জিতে লাহোরকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন মুলতান অধিনায়ক শান মাসুদ। ফাখারকে সঙ্গে নিয়ে লাহোরকে ঝড়ো শুরু এনে দিয়েছিলেন তামিম, প্রথম ওভারে লাইথকে মিসহিটে মারা একটি চারের পরের ওভারে সোহেল তানভিরকে কাভার ড্রাইভে মেরেছিলেন দারুণ আরেকটি চার। এরপর মোহাম্মদ ইলিয়াসকে পয়েন্টের ওপর দিয়ে দুটির পর এসেছে তানভিরকে ফ্লিক করে মারা আরেকটি। ৪ ওভারেই ৪২ রান তুলে ফেলা লাহোরের একটু ছন্দপতন হয়েছে পরের ওভারে জুনাইদের শর্ট অফ আ লেংথের বলে তামিম তুলে মারতে গিয়ে টপ-এজড হওয়াতে। পরপর দুই ইনিংসেই তামিম ফিরলেন শর্ট বলে। আগেরদিন ১০ বলে ১৮, এদিন ২০ বলে ৩০-- তামিমের গ্রাফটা কি ফাইনালেও এমন উচ্চগামীই থাকবে? 


    ২০ বলে ৩০ করেছেন তামিম/লাহোর কালান্দারস


    পাওয়ারপ্লেতে লাহোর এরপর হারিয়েছে অধিনায়ক সোহেল খানের উইকেটও। ফাখার ও আগেরদিনের জয়ের নায়ক মোহাম্মদ হাফিজ টানছিলেন তাদের, তবে মাঝে ইমরান তাহির ও শাহিদ আফ্রিদি লাগাম টেনে ধরেছিলেন মোটামুটি। ২১ বলে ১৯ রান করে আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়েছেন হাফিজ, লাইথকে পরপর দুই চারের পর লিডিং-এজে পয়েন্টে ধরা পড়েছেন ৩৬ বলে ৪৬ রান করা ফাখার। ৫ ওভার বাকি থাকতে লাহোরের স্কোর ছিল ১১৫ রান। 

    ১৬তম ওভারে তাহিরকে একটি চার মেরে ভিসা ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন, সামিট প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে উড়ান দিয়েছেন। শেষ ওভারে গিয়ে ১৬ বলে ২৬ করা প্যাটেল ফিরলেও ভিসা ছিলেন, আগেরদিনের মতো এদিনও ইনিংসের শেষ ২ বলে মেরেছেন ছয়। শেষ ২ ওভারে ৩৮ রান তুলেছে লাহোর, ভিসা তার ৪৮ রানের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছয়। 

    রানতাড়ায় মুলতানের ইনিংসও ছিল লাহোরের মতোই। অ্যাডাম লাইথ এখানে ছিলেন তামিমের ভূমিকায়, ফাখারের ভূমিকায় জিশান আশরাফ। ৪.২ ওভারে ৪৭ রান তোলার পর ভেঙেছে সে জুটি, হারিস রউফের বলে জিশান ক্যাচ দেওয়াতে। তবে লাইথ শীঘ্রই থামেননি, পাওয়ারপ্লেতে ৬৩ রান তুলেছিল মুলতান। 

    ২৮ বলে ফিফটি করেছিলেন লাইথ। লাহোরকে এরপরের ব্রেকথ্রু দিয়েছেন ভিসা, তার বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েছেন লাইথ। এরপর মুলতানের ইনিংসও ধীরগতির হয়ে গেছে, দিলবর হুসেইনের বলে অধিনায়ক শান মাসুদ ফেরার পর রবি বোপারা হয়েছেন ভিসার দ্বিতীয় শিকার। 

    ১৪তম ওভারে পরপর দুই বলে রাইলি রুশো ও শাহিদ আফ্রিদিকে ফিরিয়ে ম্যাচ প্রায় শেষ করে দিয়েছিলেন রউফ। আফ্রিদি রউফের ইয়র্কার সামলাতে না পেরে হয়েছেন বোল্ড, তাকে আউট করে রীতিমতো ‘ক্ষমা’ চাওয়ার ভঙিমা করেছেন রউফ। খুশদিল শাহর ১৯ বলে ৩০ রানের ইনিংস এরপর আশা জুগিয়েছিল মুলতানকে, শাহিন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে পেরে ওঠেননি। প্রথম দুই ওভার করে যাওয়ার পর উঠে গিয়েছিলেন শাহিন, ফিরে এসে আবারও ঝলক দেখিয়েছেন। 

    শেষ ওভারের প্রথম বলেই ইমরান তাহিরকে ফিরিয়ে খেল খতম করেছেন দিলবার, লাহোরও চলে গেছে প্রথমবারের মতো ফাইনালে। 

    প্লে-অফে এলিমিনেটরে থাকা লাহোরে খেলতে গিয়েছিলেন বলে এক ম্যাচেই টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তামিমের, তবে সেটি যাচ্ছে ফাইনাল পর্যন্ত।