মাহমুদউল্লাহ: ক্যারিয়ারের সেরা ফিটনেস লেভেলে আছি

অন্যরা ছুটছেন, সেখানে মাহমুদউল্লাহ যেন উপভোগ করলেন বৃষ্টি। কয়েকদফা বৃষ্টি-বাধায় পড়া দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এমন একটা ছবি আছে তার- মুখভঙ্গিতে স্বস্তি, কিছু উপভোগ করার ব্যাপার। আপাতত নিজের ফিটনেসটাও ‘উপভোগ’ই করছেন তিনি। ক্যারিয়ারের সেরা ফিটনেস লেভেলে আছেন এখন, জানিয়েছেন তিনি। বোলিংয়ের জন্যও প্রস্তুত হয়ে আছেন, অপেক্ষা শুধু দলের প্রয়োজন পড়ার।
“আলহামদুলিল্লাহ! মনে হয় যে ক্যারিয়ারের সেরা ফিটনেস লেভেলে আমি আছি। এটা নিয়ে গত দুই তিন বছর ধরে আমি কাজ করছি”, দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে বলেছেন মাহমুদউল্লাহ। “ফিট থাকার চেষ্টা করছি, রানিং হোক, জিম হোক, এক্সট্রা রানিং, এক্সট্রা জিম...ব্যালেন্সিং কাজ আমার অনেক বেশি করা লাগে, ঠিকঠাক রাখার কাজ করা লাগে। তো এই জিনিসগুলো আমি করার চেষ্ট করি। চেষ্টা করি যেন ফিটনেসটা ভাল থাকে।”
এমনিতেও টেস্ট ফরম্যাট থেকে বাদ পড়েছেন বাংলাদেশের এখনকার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কা সফরে থাকা দল দেশে ফিরে যখন কোয়ারেন্টিনে, তার আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করেছিলেন মাহমুদউল্লাহসহ কয়েকজন। ছয়ে ব্যাটিং করছেন, তবে টপ অর্ডার দ্রুত ধসে যাওয়ার পর কার্যত মিডল-অর্ডারের ভারের অনেকখানি সামলাতে হয়েছে তাকে আগেভাগেই। সিরিজে এখন পর্যন্ত একটি ফিফটি পেয়েছেন, তবে দুবারই ইনিংস আরেকটু বড় করার সুযোগ পেয়েছেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত দুটি ইনিংসই হয়ে দাঁড়িয়েছে গুরুত্বপূর্ণ।
তার যে ব্যাটিং পজিশন, সেখানে ব্যাটিংয়ের ধরন এমনই, মনে করিয়েছেন আরেকবার, “হ্যাঁ, আমার মনে হয় যেহেতু আমি লেট মিডল-অর্ডারে ব্যাটিং করি, অনেক সময় আমার ৩০-৪০-ও অগোচরে থেকে যায়। তবে আমি যেটা বললাম যে আমাকে পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করতে হয়। তো দলের জন্য সঠিক সময়ে যে অবদান রাখতে হয় ওটাই আমার লক্ষ্য থাকে।”
এ ব্যাপারে তরুণদের সঙ্গে কথা হয় তার, “আফিফ (হোসেন) আছে, যারা লেইট মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করছে, তাদের সামর্থ্য আছে। ওদের সঙ্গে প্রায় সময়ই কথা হয়। আমি ওদের সঙ্গে শেয়ার করি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও আমার দিক থেকে চিন্তা করি। এবং কীভাবে লেইট মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করব, তাদের ভুমিকাটা কি হবে, আমরা যেন সেরা আউটপুটটা দলের জন্যদিতে পারি এটা সব সময় আমরা খেয়াল করি এবং চেষ্টা করি। হয়ত বা অনেক সময় আমরা ঠিকভাবে দিতে পারি, অনেক সময় পরি না, তবে ইচ্ছেটা সব সময়ই আছে।”
আপাতত ব্যাটিংয়ের জন্য আলাদা কিছুও করেননি তিনি, “কোন বদল না (আনিনি), আলহামদুলিল্লাহ। আমি ধারাবাহিক থাকার চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ ভাল অনুভব করছি। যেটা আমি সবসময় অনুভব করি যে, সঠিক সময়ে দলের জন্য অবদান রাখা- যেহেতু আমি ছয় নাম্বারে ব্যাটিং করছি। তো ঠিক সময়ে আমি যদি দলের জন্য অবদান রাখতে পারি সেটা আমার ও দলের জন্য ভাল। এবং কালকে আরেকটা সুযোগ তো ইনশাআল্লাহ কালেকেও ভাল করার চেষ্টা করব।”
শুধু লেট মিডল-অর্ডারে ব্যাটিং নয়, মাহমুদউল্লাহর বোলিংটাও একসময় ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তবে কাঁধের চোটের কারণে বোলিং করেননি বেশ কিছুদিন। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে শেষ ৫ ওভার বোলিং করেছিলেন তিনি, এরপর শেষ ১০ ইনিংসে বোলিং করেছেন তিনবার- গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মোস্তাফিজুর রহমান চোট পেয়ে ওভার শেষ না করেই উঠে যাওয়ার পর করেছিলেন এক বল।
এ সিরিজের আগেই তার বোলিং নিয়ে বলেছিলেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, আজ বললেন তিনিও, “আলহামদুলিল্লাহ আমি বোলিংয়ে ফিরেছি। এখন যখনই দলের প্রয়োজন পড়বে আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।”