দুঃস্বপ্নের অভিষেক, অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড নাঈমের
বাংলাদেশের শততম টেস্ট ক্যাপটা উঠেছে মোহাম্মদ নাঈম শেখের মাথায়। ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষিক্ত হয়েছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। কিন্ত অভিষেক আর রাঙাতে পারলেন কই? আউট হয়েছেন কোনো রান না করেই। এতেই তার সঙ্গী হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ড।
হ্যাগলি ওভালে টেস্টের দ্বিতীয় দিন টিম সাউদির করা বাড়তি বাউন্সের বল ব্লক করতে গিয়ে ইন সাইড এজে বোল্ড হন নাঈম। নামের পাশে পাঁচ বলে শূন্য রান। ততক্ষণে ২৫তম বাংলাদেশী টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়াদের তালিকায় নাম উঠে গেছে তার।
অবশ্য ওপেনার হিসেবে এই তালিকায় তৃতীয় সংযোজন নাঈম। এর আগে অভিষেক টেস্ট ইনিংসে শূন্য করেছেন সাইফ হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়।
প্রথম বাংলাদেশী ওপেনার হিসেবে এই তিক্ত স্বাদ পান সাইফ। ২০২০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের অভিষেক টেস্টে দুই বলে শূন্য করে আউট হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি।
জয়ের অভিষেকও পাকিস্তানের বিপক্ষেই। গত বছর মিরপুর টেস্টে বাঁহাতি স্পিনার সাজিদ খানের বলে বাবর আযমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। সাত বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি ডানহাতি এই ওপেনার। অভিষেক টেস্ট ইনিংসে সাইফ-জয়; দুজনই ফিরেছেন শূন্য হাতে। দ্বিতীয় ইনিংসে রানের দেখা পেলেও দলের জন্য বিশেষ কিছু আসেনি তাদের ব্যাট থেকে।
সব ব্যাটিং পজিশন মিলিয়ে টেস্ট অভিষেকে ‘পেয়ার’ পেয়েছেন কেবল দুই বাংলাদেশী ক্রিকেটার, আলমগীর কবির ও কামরুল ইসলাম রাব্বি । নাঈমের অপেক্ষাও তাই দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য।
দুই বছর আগে নিজের খেলা সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচেও রানের খাতা খুলতে পারেননি নাঈম। সেন্ট্রাল জোনের হয়ে নর্থ জোনের বিপক্ষে খেলা সেই ম্যাচে তার সঙ্গী হয়েছিল ‘পেয়ার’ তথা জোড়া শূন্য।
টেস্ট অভিষেকে শূন্য রান করাদের তালিকায় স্বভাবতই টেলএন্ডারদের ছড়াছড়ি। তাদের ভিড়ে তিন ওপেনার ছাড়া, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন মোহাম্মদ মিঠুন, নুরুল হাসান সোহান, শুভাগত হোম, জিয়াউর রহমান ও জহুরুল ইসলাম অমি।
চাইলে অমির কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতেই পারেন নাঈম। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেন ৪৩ রান। নাঈমও নিশ্চয়ই চাইবেন এরচেয়ে বড় কিছু করতে।