• অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    ‘ফিয়ারলেস’ ক্রিকেটেই বাংলাদেশের ভারত বধের ছক

    ‘ফিয়ারলেস’ ক্রিকেটেই বাংলাদেশের ভারত বধের ছক    

    অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শেষ দেখায় ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই ফাইনালে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে আকবর আলী-রকিবুল হাসানরা দেশকে জেতান প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা। এর বছর দুয়েক পর আবারো যুব বিশ্বকাপে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ। মঞ্চ এবার কোয়ার্টার ফাইনাল। মঞ্চ ভিন্ন হলেও ভারতের বিপক্ষে রকিবুলদের লড়াইয়ের রসদ থাকছে একই; ভয়ডরহীন ক্রিকেট।

    অ্যান্টিগায় আজ সন্ধ্যা ৭টায় স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ছন্দে থাকা ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশের যুবারা।

    যুব ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত মোট ২৪ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। চার জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের সঙ্গী ১৯টি হার। ফলাফল আসেনি একটিতে। সর্বশেষ দেখাতেও হেরেছে বাংলাদেশ। যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ১০৩ রানে হারায় ভারত। তবে বিশ্বকাপে মোট চারবারের দেখায় দুই দলই জিতেছে দুটি করে ম্যাচ।

    ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত উইকেটের হার দিয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের। সেই ম্যাচে মাত্র ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় রকিবুলের দল। এমন হতাশাজনক ব্যাটিং চিন্তার রেখা ফেলেছিল টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সম্ভাবনায়। তবে সেই শঙ্কা কেটে গেছে টানা দুই ম্যাচে প্রত্যাশিত জয়ে। কানাডাকে আট উইকেট ও আরব আমিরাতকে নয় উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। 

    ওদিকে দারুণ ছন্দে আছে ভারত। গ্রুপ পর্বের সবকয়টি ম্যাচই জিতেছে গত দুই আসরের ফাইনালিস্টরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু। পরের দুই ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ও উগান্ডাকে পাত্তাই দেয়নি ভারত। আইরিশ যুবাদের ১৩৩ রানে হারালেও উগান্ডার বিপক্ষে জয়ের ব্যবধান বিশাল। ৪০৬ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে ম্যাচ জেতে ৩২৬ রানে। করোনাক্রান্ত হয়ে গ্রুপ পর্ব চলাকালীন খেলতে পারেননি অধিনায়ক ইয়াশ ধুলসহ আরো পাঁচ ক্রিকেটার। তারা সুস্থ হওয়ায় পূর্ণশক্তির দল নিয়েই বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত।  

    বাংলাদেশের  চিন্তার কারণ হতে পারে ব্যাটসম্যানদের ফর্ম। আগের বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা প্রান্তিক নওরোজ নাবিল এবার মূল ভূমিকায়। যদিও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি এখনো বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দুই ওপেনার ইফতিখার-মাহফিজুল রান পেয়েছেন কানাডা-আরব আমিরাতের বিপক্ষে। কিন্তু শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়া বাকি। মিডল অর্ডারে মূল ভরসা আইচ মোল্লা। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে দারুণ ছন্দে ছিল এই ডানহাতির ব্যাট। খানিকটা ঝলক দেখা গেছে চলতি বিশ্বকাপেও।  

    অবশ্য তানজিম হাসান সাকিব, রিপন মন্ডল, মেহেরাবদের নিয়ে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ বেশ ধারালো। সঙ্গে অধিনায়ক রকিবুল তো আছেনই। ভারতকে আরেকবার হারাতে সাকিব-রকিবুলদের জ্বলে ওঠার বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। 

    অধিনায়কও কথা বলছেন সেই সুরেই। জানিয়েছেন ভারতের বিপক্ষে অতীত অভিজ্ঞতা আর ভয়ডরহীন ক্রিকেটকে ভরসা করেই মাঠে নামবেন তারা।

    রকিবুল বলেন, ‘আমরা ভালোই আত্মবিশ্বাসী আমাদের স্কিলের ওপর। আমরা চেষ্টা করব আমাদের যে পরিকল্পনাটা আছে সেটা শতভাগ কাজে লাগানোর। আমরা ওদের (ভারত) সাথে ফিয়ারলেস ও পজিটিভ ক্রিকেট খেলব, যাতে ভালো একটা ফল নিয়ে বের হতে পারি। ওদের সাথে আগেও খেলেছি। ওদের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা আমাদের ভালোই জানা আছে।’