সূর্যকুমারের সাঁড়াশি আক্রমণ, কোহলির স্বস্তির ফিফটির পর সহজ জয়ে সুপার ফোরে ভারত
এশিয়া কাপ, গ্রুপ পর্ব, দুবাই(টস-হংকং/ বোলিং)
ভারত- ১৯২/২, ২০ ওভার (সূর্যকুমার ৬৮*, কোহলি ৫৯*, রাহুল ৩৬, ঘাজানফার ১/১৯, শুক্লা ১/২৯)
হংকং- ১৫২/৫, ২০ ওভার (বাবর ৪১, কিঞ্চিত ৩০, জীশান ২৬, জাদেজা ১/১৫, ভুবনেশ্বর ১/১৫, আরশদীপ ১/৪৪)
ফলাফল: ভারত ৪০ রানে জয়ী
হংকংকে প্রত্যাশিতভাবে হারিয়ে সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। সূর্যকুমার যাদব-ভিরাট কোহলির ৪২ বলে ৯৮* রানের ঝড়ো জুটিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল। সেই পুঁজি নিয়ে অনায়াসে জয় পেয়েছে পরে ভারত।
যদিও হংকংয়ের শুরুটা হয়েছিল মনমতই। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ইয়াসিম মূর্তজা, নিজাকাত খান ফিরলেও বাবর হায়াতের কল্যাণে পাওয়ারপ্লেতে ৫১ রান তুলেছিল হংকং। তবে এরপর আর সেই রানের ধারা বজায় রাখতে পারেনি তারা। ৩৫ বলে ৪১ রান করে বাবর ১২তম ওভারে জাদেজার শিকার হয়ে ফিরলে সম্মানজনক পরাজয়ের জন্যই খেলতে থাকে হংকং।
কিঞ্চিত শাহ ২৮ বলে ৩০ রান করে ফেরার পর শেষ দিকে জীশান আলী ১৭ বলে ২৬* রান করে ব্যবধান কমিয়েছেন, যার বেশিরভাগ গিয়েছে দুই তরুণ পেসার আভেশ ও আরশদীপের ওপর দিয়েই। তবে শেষমেশ সহজেই জয় পেয়েছে ভারত।
এর আগে ভারতের শুরুটা ঠিক ভারতসুলভ হয়নি। এক প্রান্তে অধিনায়ক রোহিত শর্মা মারমুখী ব্যাটিং শুরু করলেও সহ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল একেবারেই জবুথবু হয়ে ছিলেন। হারুন আরশাদের করা তৃতীয় ওভারে জদিদ রাহুল-রোহিত মিলে তুলেছিলেন ২২ রান, তবুও ২১ রানে রোহিত এক ওভার পরেই আয়ুশ শুক্লার শিকার হয়ে ফিরে গেলে আবার খোলসবন্দি হয়ে যান রাহুল। পাওয়ারপ্লেতে যে ভারত ৪৪ রান তুলেছিল সেটার জন্য ক্ষণিকের ওই ঝড়ে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করা রোহিতকেই ধন্যবাদ জানাতে হয়।
উইকেটে এসে কোহলির মধ্যেও কাজ করছিল জড়তা। দুজনের শ্লথ ব্যাটিংয়ের চাপ কাজে লাগিয়েই ৩৯ বলে ৩৬ রানের স্বভাববিরুদ্ধ ইনিংসের ইতি টেনে রাহুলকে ফেরান মোহাম্মদ ঘাজানফার। ১৩তম ওভারে রাহুলের বিদায় যেন ভারতের জন্য শাপেবর হয়ে আসে। উইকেটে এসেই দুই চারে শুরু করা সূর্যকুমার উইকেটে আসতেই মনে হল এ যেন ভিন্ন কোনও উইকেট। সূর্যকুমারের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে কোহলিও ফেরেন চেনা রুপে। ৪০ বলে কোহলি পান নিজের ৩১তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি, যা একইসাথে এই আসরের প্রথম। আর অন্য প্রান্তে রীতিমত ঝড় তোলেন সূর্যকুমার। যদিও ৪১ রানে থাকার সময় পরিষ্কার এলবিডব্লিউ হলেও আম্পায়ার কোনও এক অজানা কারণে সেটাকে ওয়াইড ডাকেন; হংকংও আর করেনি রিভিউয়ের আবেদন। সেটার কী খেসারতটাই না দিতে হয়েছে তাদের। ২০ বলে ফিফটি পূর্ণ করা সূর্যকুমার শেষ ওভারে ৪ ছয়ে নিলেন ২৮ রান; শেষ করলেন ২৬ বলে ২৮* রানে অপরাজিত থেকে। আর ২০২১ সালের মার্চের পর নিজের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক স্কোর নিয়ে অপরাজিত থাকেন কোহলি। দুজনের তান্ডবে এক সময় ৮-এর নিচে রান রেট থাকা সত্ত্বেও বিশাল সংগ্রহ নিয়ে শেষ করে ভারত; যেই পুঁজি নিয়ে দিনশেষে সহজ জয় পেয়েছে রোহিতের দল।