• এশিয়া কাপ
  • " />

     

    ব্যাটে-বলে 'পারফেক্ট' পাকিস্তান রেকর্ড গড়েই গেল সুপার ফোরে

    ব্যাটে-বলে 'পারফেক্ট' পাকিস্তান রেকর্ড গড়েই গেল সুপার ফোরে    

    এশিয়া কাপ, গ্রুপ পর্ব, শারজাহ(টস-হংকং/বোলিং)
    পাকিস্তান- ১৯৩/২, ২০ ওভার (রিজওয়ান ৭৮*, ফাখার ৫৩, খুশদিল ৩৫*, এহসান ২/২৭)
    হংকং- ৩৮, ১০.৪ ওভার (নিজাকাত ৮, কিঞ্চিত ৬, শাদাব ৪/৮, নাওয়াজ ৩/৫, নাসিম ২/৭)
    ফলাফল: পাকিস্তান ১৫৫ রানে জয়ী

     

    ভারতের সাথে সাহসী ক্রিকেটের জন্য সমাদর পাওয়া পর হংকং পাকিস্তানকেও ভাবাবে বলে যে ধারণা ছিল তা পুরোপুরি ভেস্তে দিয়ে হংকংকে রীতিমত নাকানিচুবানি খাইয়ে সুপার ফোরে জায়গা করে নিল পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফাখার জামানের ফিফটির সাথে খুশদিল শাহ’র ঝড়ো ক্যামিওতে বড় সংগ্রহ পাওয়ার পর শাদাব খান, মোহাম্মদ নাওয়াজ, নাসিম শাহদের দৌরাত্ম্যে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান।

    দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হেনে নাসিম শাহ প্রথম টোকা দিয়েছিলেন হংকংয়ের তাসের ঘরে। পাওয়ারপ্লের মধ্যে শাহনাওয়াজ দাহানি নিজের একমাত্র উইকেট তুলে নেওয়ার পর পাওয়ারপ্লের পরের ওভার থেকে শুরু হয় শাদাব-নাওয়াজের বিষাক্ত স্পিন। দুই প্রান্ত থেকে একে একে উইকেট তুলে নিয়ে হংকংকে পাকিস্তান ডোবাল এশিয়া কাপে টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে মিলিয়ে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের লজ্জায়। মাত্র ৫ রান দিয়ে নাওয়াজ ৩ উইকেট নিলে শাদাব খান গড়েন এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সেরা বোলিং ফিগারের (২.৪-০-৮-৪) রেকর্ড, যা একইসাথে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে স্পিনার হিসেবে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড।

    এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে পাকিস্তানের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল হংকং। ৯ রানে বাবর আজমকে এহসান খান ফেরালে রিজওয়ান, ফাখার দুজনেই আগান রয়েসয়ে। পাওয়ারপ্লেতে ৪০ রান তোলার পর দশম ওভারে গিয়েও দলের রান ছিল মোটে ৬৪।

    ক্ষণিকের সেই মাথাব্যথা ঝেড়ে ফেলে ৪২ বলে রিজওয়ান যখন নিজের ১৪তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি পূর্ণ করলেন ফাখারের রান তখনও রান তুলছেন বলপ্রতি হিসেবে। ১৬তম ওভারে এসে দুজনেই হাত খুলতে শুরু করেন; ওই ওভারে তো ফাখার মারেন ১০১ মিটার লম্বা এক ছয়, যা দিয়ে ৩৮ বলে ফিফটি তোলেন তিনি। তবে পরের ওভারে ৫৩ রানে এহসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। দুরবিশহ এক দিনে আশার আলো হয়ে পাওয়ারপ্লে, ডেথ ওভার সব খানেই নজর কাড়া বোলিং করেন ৩৭ বছয় বয়সী অফ স্পিনার এহসান। তবে ফাখারের উইকেটটা হংকংয়ের জন হয়ে দাঁড়ায় খাল কেটে কুমির ডেকে আনার মতই। উইকেটে এসেই খুশদিল মারমুখী হয়ে ওঠেন, আর শেষ ওভারে তো প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে টানা ৪ ছয়ের রেকর্ড গড়েন। শেষ ওভারে খুশদিল ঝড়ে ২৯ রান এলে তিনি অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ৩৫* রানে। সাথে রিজওয়ান গিয়ার পালটে ৫৭ বলে ৭৮* রানে অপরাজিত থাকলে পাকিস্তান পায় বড় সংগ্রহ, যার ধারেকাছেও এরপর পৌঁছাতে পারেনি হংকং।