• এশিয়া কাপ
  • " />

     

    আফগানদের আশা ভেস্তে জয় দিয়ে সুপার ফোর শুরু শ্রীলঙ্কার

    আফগানদের আশা ভেস্তে জয় দিয়ে সুপার ফোর শুরু শ্রীলঙ্কার    

    এশিয়া কাপ, সুপার ফোর, শারজাহ(টস-শ্রীলঙ্কা/বোলিং)

    আফগানিস্তান- ১৭৫/৬, ২০ ওভার (গুরবাজ, ইব্রাহিম ৪০, নাজিবউল্লাহ ১৭, মাদুশাঙ্কা ২/৩৭, থিকশানা ১/২৯, আসিথা ১/৩৪)

    শ্রীলঙ্কা- ১৭৯/৬, ১৯.১ ওভার (কুসাল ৩৬, নিসাঙ্কা ৩৫, গুনাতিলাকা ৩৩, মুজিব ২/৩০, নাভিন ২/৪০, নবী ১/৩৪)

    ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেটে জয়ী

     

    বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ জয়ের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে সুপার ফোরে জয় দিয়েই সূচনা করল শ্রীলঙ্কা। রহমানউল্লাহ গুরবাজের ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে আফগানিস্তান বড় সংগ্রহ পেলেও শ্রীলঙ্কান ব্যাটারদের দক্ষতায় সেই লক্ষ্য পেরিয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

    ১৭৬ রানের লক্ষ্য শুরুটা দারুণ হয়েছিল শ্রীলঙ্কার। বাংলাদেশের বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিলেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন কুসাল মেন্ডিস, সাথে পাথুম নিসাঙ্কাও ছিলেন সপ্রতিভ। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে তো আক্রমনে আসা রশিদকে টানা দুই ছয় মেরে বসেন কুসাল; পাওয়ারপ্লেতে তার সুবাদে শ্রীলঙ্কা তোলে ৫৭ রান।

    পাওয়ারপ্লের পর দশম ওভারের মাঝেই নিসাঙ্কা ৩৫ রানে ও কুসাল ৩৬ রানে ফেরার পর দলের হাল ধরেন দানুশকা গুনাতিলাকা। মাঝে আসালাঙ্কা ফেরার পর বাউন্ডারিতে সরাসরি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক শানাকা। শেষ ৫ ওভারে ৪৯ রান প্রয়োজন হলে উইকেটে এসে বেধড়ক আক্রমণ শুরু করেন রাজাপাকসা। ২১ রানে থাকার সময় তার ক্যাঁচ পড়লে সেই রাজাপাকসাই আফগানদের কাল হয়ে দাঁড়ান। ১৮তম ওভারে ৩৩ রানে থাকা গুনাতিলাকাকে রশিদ ফিরিয়ে আফগানদের শিবিরে আশা ফেরালেও ১৪ বলে ৩১ রান করে রাজাপাকসা একাই ভেস্তে দেন সেই আশা। ১৯তম ওভারে তিনি ফিরলেও শেষ ওভারের প্রথম বলেই এরপর জয় নিশ্চিত হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার।

    এর আগে শুরু থেকেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন গুরবাজ। অন্য প্রান্তে হযরতউল্লাহ জাযাই সুবিধা করে উঠতে না পারলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে যেরকম আক্রমণাত্মক মানসিকতা দেখিয়েছিলেন এদিনও হল না তার ব্যতিক্রম। ৮ রানে থাকার সময় গুনাতিলাকা ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় অবশ্য গুরবাজ বেঁচে গেলেও  দিলশান মাদুশাঙ্কার শিকার হয়ে ৫ম ওভারে জাযাই ফেরেন;  গুরবাজ সেখান থেকে দলকে পাওয়ারপ্লেতে এনে দেন ৪৯ রান। ৯ম ওভারেই গুরবাজ পূর্ণ করেন নিজের ৫ম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি, যা আফগানিস্তানের হয়ে ছিল ২য় দ্রুততম (২২ বলে)।

    গুরবাজ এক প্রান্তে আক্রমণ চালিয়ে অন্য প্রান্ত আগলে রেখে প্রান্ত বদলে মনযোগী হন ইব্রাহিম জাদরান। মাঝের ওভারগুলো দেখেশুনে খেললেও এই জুটি ১৩তম ওভারে ১৬ রান নেওয়ার পর ১৪তম ওভারে চামিকা করুনারত্নেকে দুই ছয় মেরে নেয় ২১ রান; ইঙ্গিত দেয় গিয়ার পালটানোর। সেটার সুযোগ নিয়েই গুরবাজকে স্টাম্পের বেশ বাইরে ফুল লেংথের বল খেলতে বাধ্য করে ডিপ মিড উইকেটে হাসারাঙ্গার তালুবন্দি করে ফেরান আসিথা ফার্নান্দো। ৪ চার ও ৬ ছয়ে সাজানো ৪৫ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস শেষে গুরবাজ ফিরলে এক ওভার পরেই স্কুপ করতে গিয়ে ফেরেন ৩৮ বলে ৪০ রানে থাকা ইব্রাহিম। মাদুশাঙ্কা, থিকশানা, আসিথা মিলে দুর্দান্ত ডেথ বোলিং করে আফগানিস্তানকে শেষ ৫ ওভারে নিতে দেয় ৩৭ রান, সেই সাথে তুলে নেয় ৫ উইকেট। সেটাই দিনশেষে গড়ে দিয়েছে ব্যাবধান।