'সবাই তো আর মুস্তাফিজ নয়'
ম্যাচ ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। অথচ ম্যাচ শেষে টুইটারে দুই ভারতীয় ভাষ্যকার আকাশ চোপড়া ও সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের বিতর্ক চললো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মুস্তাফিজকে নিয়ে! কলকাতার পাঁচ উইকেটের জয়ে সঞ্জয় ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব খুঁজলেও আকাশ চোপড়া বোধ করছিলেন ব্যাঙ্গালুরুর দলে মুস্তাফিজের মতো একজন বোলারের অভাব।
মুস্তাফিজের বলে ভূপাতিত আন্দ্রে রাসেল
১৮৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ৬৯, উইকেট নেই ৪টি। ৬০ বলে ১২৭ রান প্রয়োজন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ব্যাটিং অর্ডারে এরপর যারা আছেন তাঁদেরও সে অর্থে ফর্ম নেই। এমন প্রেক্ষিতে বেশীরভাগ দর্শকই হয়তো বাজি ধরবেন ফিল্ডিংয়ে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষেই। কিন্তু ম্যাচ শেষের ফল বলছে ৫ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা। ৪৪ বলে ৯৬ রানের এক ঝড়ো জুটিতে সে জয় লিখেছেন ইউসুফ পাঠান আর আন্দ্রে রাসেল।
ম্যাচের পর টুইটারে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় সঞ্জয় লিখেন, “শক্তিই যখন শেষ কথা হয়ে ওঠে, তখন আসলে আপনার খুব বেশী কিছু করার থাকে না। দারুণ দেখালো পাঠান আর রাসেল! দারুণ দেখালো কলকাতা!”
এর জবাবে আকাশ চোপড়া টেনে আনেন বাংলাদেশের বিস্ময়বালককে, “মুস্তাফিজ এখানে দ্বিমত পোষণ করতে পারে...রাসেলকে যে ইয়র্কারে ভূপাতিত করেছিল। বোলিংয়ের মানটাও এখানে দেখতে হবে।”
পাল্টা জবাবে আকাশকে বাস্তবতা মেনে নেয়ার পরামর্শ দেন সঞ্জয়, “সবাই তো আর মুস্তাফিজ নয়! এমনটা আপনি আশাও করতে পারেন না। সব কৃতিত্ব পাঠান আর রাসেলের।”
আকাশ চোপড়া সঞ্জয়ের প্রথম মন্তব্যটিরই বিরোধিতা করে চলেন, “আমি তাঁদের কৃতিত্ব খাটো করে দেখছি না। আমি শুধু বলতে চাইছি যে, (ব্যাটসম্যানের) শক্তির মোকাবেলায়ও আসলে বোলারদের অনেক কিছু করার থাকে।”
বোলারদের ব্যর্থতার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন সঞ্জয়, “ছোট সীমানা, নিষ্প্রাণ উইকেট, শক্ত হাতে চওড়া ব্যাট, ২০ ওভারে ১০ উইকেট। কোনো বোলারই খুব বেশী কিছু করতে পারে না।”
আকাশ চোপড়া সে যুক্তিও খণ্ডন করলেন, পরোক্ষভাবে হয়তো মুস্তাফিজকেই উদাহরণ মেনে, “একই ম্যাচে, একই পিচে, একই ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে...কোনো কোনো বোলার এখনও তুলনামূলক হিসেবী বল করার ক্ষমতা রাখে।
সঞ্জয় মাঞ্জরেকার অবশ্য আর কথা বাড়ান নি!