স্বাগতিকদের দ্বিতীয় পরাজয় বিলিয়ে গ্রুপের সমীকরণ জমিয়ে তুলল সেনেগাল
কাতার ১:৩ সেনেগাল
বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম স্বাগতিক হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচ হেরে শুরু করা কাতারের সামনে ছিল অসাদ্ধ সাধনের চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জের প্রতিপক্ষ সেনেগাল বিশ্বকাপ শুরু করেছিল হার দিয়ে, নামের পাশে ছিল না কোনও গোল, সেই সাথে বিশ্বকাপের আগেই হারিয়েছে তারকা সাদিও মানেকে। তবে সেসবের তোয়াক্কা না করে দোর্দণ্ড প্রতাপে ফিরে এসেছে আফ্রিকার সিংহরা। স্বাগতিকদের টানা দ্বিতীয় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ বিলিয়ে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে এবার জয় পেল সেনেগাল। গ্রুপ ‘এ’-এর সমীকরণ জমিয়ে তুলে কাতারকে আরেকটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের অংশীদার করেছে সেনেগাল - মাত্র ৫ম স্বাগতিক দেশ হিসেবে গ্রুপ রাউন্ডে টানা দুই ম্যাচ হেরেছে কাতার।
ম্যাচের শুরু থেকেই কাতারকে চেপে ধরেছিল সেনেগাল। মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখায় কাতারের রক্ষণভাগকে প্রচুর ভুল করতেও বাধ্য করে সেনেগাল। সেরকম এক ভুলেরই মাশুল দিতে হয় স্বাগতিকদের। ৪১ মিনিটের মাথায় ডিয়াট্টার নিরীহ এক ক্রস ঠেলে বাইরে পাঠাতে পারেননি খুখি। তার গায়ে লেগে ডি-বক্সে ওঁত পেতে থাকা দিয়ার সামনে বল পড়লে ঠান্ডা মাথায় সেটা জালে জড়িয়ে আসরে দেশের হয়ে প্রথম গোল করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা যেন একেবারেই বিভীষিকাময় হয়ে উঠে স্বাগতিকদের জন্য। ৪৮ মিনিটে জ্যাকবসের কর্নার থেকে দৌড়ে এসে ক্ষিপ্র এক হেডে বল জালে জড়ান দিয়েধিউ। ৬৩ মিনিটের মাথায় গিয়ে পুরো বিশ্বকাপে প্রথমবারে মত গোলমুখে দেখা মেলে কাতারের কোনও প্রচেষ্টার। আফিফের বাড়িয়ে দেওয়া পাস থেকে শরীর ঘুরিয়ে আলি জোরাল এক শট নিলেও দারুণ দক্ষতায় তাকে প্রতিহত করেন মেন্ডি। সেখান থেকে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করতে থাকার সুবাদে ৭৮ মিনিটে গিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে নিজেদের প্রথম গোল পান মোহাম্মেদ মুনতারি।
তবে কাতারের গোলের পরেই যেন নড়েচড়ে বসে সেনেগাল। পরের মিনিটেই গোলের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন সিসে, তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ডিফেন্ডার খুখি। সেনেগালের আক্রমণের স্রোতে অবশ্য কাতার ভেঙে পড়ে শেষ মুহূর্তে। ডান প্রান্ত দিয়ে জায়গা করে নিয়ে এনদিয়ায়ে বক্সের মাঝে থাকা দিয়েংয়ের উদ্দেশ্যে বল বাড়ালে খুখিকে ছিটকে ফেলে বল জড়ান দিয়েং। চেষ্টা করেও এরপর আর দুই গোলের ব্যবধান ঘুচাতে পারেনি কাতার।