নেদারল্যান্ডসকে কব্জা করে এক পয়েন্ট উদ্ধার করল ইকুয়েডর
নেদারল্যান্ডস ১:১ ইকুয়েডর
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে কাতারকে ‘ফুটবলীয় শিক্ষা’ দিয়ে হারানো ইকুয়েডর দ্বিতীয় ম্যাচেও উপহার দিয়েছে লড়াকু এক পারফরম্যান্স। লুইস ভ্যান গালের নেদারল্যান্ডসকে পুরো সময় চাপে রেখে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ভ্যালেন্সিয়ারা। দুই দলের হয়ে গোল করেছেন দুজন পরিচিত স্কোরার, কোডি গাকপো ও এনার ভ্যালেন্সিয়া।
আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগালকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা ভ্যান ডাইকরা খলিফা স্টেডিয়ামে পা রেখেছিল পরিষ্কার ফেভারিট হিসেবে। এবং ফেভারিটদের মতো ফুটবল দিয়েই ম্যাচ শুরু করেছিল তারা। পঞ্চম মিনিটে বক্সের সামনে ক্লাসেনের বাড়ানো বল পান নাম্বাই নাইন হিসেবে খেলতে নামা গাকপো। বল নিয়ে বামদিকে এক কদম বাড়ান গাকপো, এবং বক্সের লাইন থেকে বাম পায়ের এক দুর্দান্ত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। ৫ মিনিট ২ সেকেন্ডে করা গাকপোর এই গোল টুর্নামেন্টের দ্রুততম গোল।
এরকম নিখুঁত শুরুর পর যেন একটু নেতিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। কমতে শুরু করে তাদের আক্রমণের মাত্রা। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে সিংহভাগ আক্রমণ ইকুয়েডরই করে। পুরো অর্ধ চেষ্টা করে শেষে সমতা ফিরিয়েই ফেলেছিল ইকুয়েডর। কিন্তু যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে করা স্তুপেনিয়ানের ডিফ্লেক্টেড শটের গোল বাতিল করে রেফারি। কেননা শটের সময় হল্যান্ড কিপারের সামনে অফসাইড পজিশনে দাঁড়িয়ে ছিল ইকুয়েডরের এক খেলোয়াড়।
তবে এ নিয়ে বেশিক্ষণ আফসোস করতে হয়নি ইকুয়েডরের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতাসূচক গোলের দেখা পায় তারা। লেফট উইং দিয়ে বক্সে ঢুকে স্তুপেনিয়ান গোলমুখে শট নেন, হল্যান্ড কিপার নপার্ট সেটি ফেরাতে সক্ষম হলেও রিবাউন্ড গিয়ে পড়ে এনার ভ্যালেন্সিয়ার পায়ে। তা জালে জড়িয়ে ইকুয়েডরের জন্য আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করেন এই বর্ষীয়ান স্ট্রাইকার। বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের করা সর্বশেষ ছয়টি গোলই এসেছে তার পা থেকে।
দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময়েও ম্যাচের আধিপত্য ইকুয়েডরের কাছেই থাকে। বেশ কয়েকবার জয়সূচক গোলের কাছাকাছিও চলে এসেছিল ভ্যালেন্সিয়ারা। বিশেষ করে ৫৯ মিনিটে প্লাটার নেওয়া শট বারে না লাগলে হয়তো তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ত ইকুয়েডর। তবে ১-১ গোলের এই ড্র তাদের জন্য খারাপ রেজাল্ট না। সেনেগালের বিপক্ষে তাদের পরবর্তী ম্যাচ এখন গ্রুপের অঘোষিত নকআউট। এই ড্র নেদারল্যান্ডসের জন্যও খারাপ ফলাফল না। শেষ ম্যাচে কাতারকে হারাতে পারলেই ভ্যান গালের দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উঠবে শেষ ষোলোতে।