• " />

     

    বাড়ির কাছে 'লেস্টার-নগর'

    বাড়ির কাছে 'লেস্টার-নগর'    

    ১.

    লেস্টার সিটির শিরোপা নিশ্চিত হয়নি তখনও। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে জয়টা প্রয়োজন। তাই বলে উদযাপনের প্রস্তুতি তো আর থেমে থাকে না! নগরের ফুটবল ক্লাবের সবচেয়ে গৌরবের মাহেন্দ্রক্ষণ উদযাপনে আনা হয়েছে একটা কেক। লেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে। ইউনাইটেডের সঙ্গে ম্যাচটা ড্র করেছিল ‘সুপারফক্স’রা। গ্রেস রোডে কেকটা কি কাটা হয়েছিল সেদিন? না হলেও শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর নিশ্চয়ই উদযাপনে মেতেছিল গ্রেস রোডের কাউন্টি ক্লাবটাও! গোটা লেস্টার শহরের সঙ্গে! ‘ব্লু ফক্স’দের মতো ‘গোল্ডেন ফক্স’রাও কি উপহার দেবে কোনো রূপকথা? কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা যে লেস্টারশায়ারের জন্য এখন রূপকথারই সমান!

     

    ২.

    প্রায় ভেঙ্গে পড়া কাউন্সিল ভবন। দুর্গের মতো ওয়েলফোর্ড রোড কারাগার। স্প্রলিং হাসপাতাল। এর আগেই ‘ইস্ট মিডল্যান্ড’ এর খেলাধুলার দুই শক্তিমানের আস্তানা। লেস্টার টাইগার; রাগবিতে লেস্টারের প্রতিনিধিদের ওয়েলফোর্ড স্টেডিয়াম। আর ফুটবলে রূপকথার জন্ম দেয়া লেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের ঘরের ‘কলোসিয়াম’, কিং পাওয়ার স্টেডিয়াম। সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে, মাথা উঁচু করে। ক্রিকেটকে খুঁজতে হলে যেতে হবে আরও মাইল দেড়েক। মক্কা বিংগো হল পার হয়ে, রেলসেতুটার নীচে দিয়ে গিয়ে একটা বামে মোড় নিলে একটা ছোটো সংকেত-বোর্ড চোখে পড়বে, যাতে লেখা, ‘কাউন্টি ক্রিকেট’। রাগবি-ফুটবল থেকে যেন পালিয়ে বাঁচতে চায়, লেস্টারের ক্রিকেট, ফক্সদের ক্রিকেট!  

     

    ৩.

    গত বছরের জুন। প্রায় তিন বছরের মধ্যে প্রথম কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের একটা ম্যাচ জিতলো লেস্টারশায়ার। ৩৭ ম্যাচ আর দুই মৌসুম, লেস্টারের জয়খরাটা ছিল ‘দীর্ঘ’ই! এসেক্সের সঙ্গে জয়টা তাই উদযাপন করাই যায়। তবে সে উদযাপনে মিশে ছিল বিস্ময়, ছিল তো দুঃখেরও ছায়া! অবশেষে জয় এলো খবরে, তবে তার পেছনেও তো থাকলো 'পরাজয়ের'ই হাত! 

    সে মৌসুমেই আরেকটা ম্যাচ জিতেছিল ফক্সরা। বোর্ডরুমে গতি এলো, ‘রিক্রুটমেন্ট-পলিসি’ উন্নত হলো। ফক্সরা যেন দেখলো নতুন কিছু, একটা আশার আলো। তবে পয়েন্ট টেবিলে লেস্টারশায়ারের অবস্থানটা বদলালো না। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সবার শেষে, রয়্যাল লন্ডন ওয়ানডে কাপে নিজেদের গ্রুপে সবার শেষে, টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে গ্রুপে সপ্তম। আশার আলোর একটা ছটাই যেন দেখেছিল ফক্সরা, যার আগে ছিল দীর্ঘ অন্ধকার গুহা!

     

    ৪.

    ২০১০ সালে মাত্র সাত পয়েন্টের জন্য ডিভিশন ওয়ানের ‘প্রমোশন’টা পাওয়া হয়নি। লেস্টারশায়ার এর পরের পাঁচ মৌসুমের চারটিই শেষ করেছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে। ছয়টি ম্যাচ জিতেছে, ৮০ ম্যাচের মধ্যে! ওপরের ডিভিশন তাদের কাছে এখন আকাশসমান উচ্চতায়, চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাটা অকল্পনীয়!

    প্রথমে ‘ডিভিশন টু’ থেকে তিনটা করে দল ‘ডিভিশন ওয়ান’ এ আসতো। সংখ্যাটা এরপর হয়েছে দুই, এ মৌসুম থেকে মাত্র একটা করে দল পাবে এ সুযোগ। গুহার ওপাশের আলোটা দূরেই সরে যাচ্ছে আরও! কিন্তু শহরের ওপাশের একটা ক্লাবই এক অদ্ভূত-আলোকে উদ্ভাসিত করছে গোটা বিশ্বকে। যেন দেখিয়ে দিচ্ছে, স্বপ্নবাজদের স্বপ্ন দেখার দিন ফুরিয়ে যায়নি, সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত জায়গাতেও পাওয়া যায় অনন্য কিছু!

    এমন অপ্রত্যাশিতভাবে লেস্টারশায়ারও তাদের ইতিহাসের দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল, আজ থেকে বিশ, দীর্ঘ বিশ বছর আগে। যখন কাউন্টি ক্রিকেটকে দুইভাগে ভাগ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তখন।

    প্রায় দুই যুগ পরও লেস্টারের বর্তমান স্কোয়াডকে সাহস যোগাতে পারে ওই ১৯৯৬ সালের জয়োৎসবে মাতা স্কোয়াডটাই। সাহস দিতে পারে, গুহার ওপাশের ওই আলোটা ছুঁয়ে দেখার যাত্রাটা শুরু করতে!

     

    ৫.

    চ্যাম্পিয়ন ওয়ারউইকশায়ারের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যাবধান ছিল ১২৩। ১৯৯৫ সালে লেস্টার চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করেছিল ৭ম হয়ে। পরের মৌসুমে লেস্টারের পক্ষে শিরোপা জেতার বাজির দর ছিল ১-৪০। জেমস হোয়াইটেকার অধিনায়ক হলেন, নাইজেল ব্রিয়ারসের জায়গায়। ১৯৭৫ সালে লেস্টারকে প্রথম ট্রফি জেতানো রে ইলিংওর্থের মতো হোয়াইটেকারও ছিলেন ‘ইয়র্কশায়ারম্যান’। তবে ইলিংওর্থও যা করেননি, হোয়াইটেকার করলেন সেটাই, এমন একটা পরিবেশ, যেখানে কথা বলবেন সবাই। তাঁকে সাহায্য করলেন কোচ জ্যাক বার্কেনশ, যিনিও ১৯৭৫ সালের চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ ছিলেন।

    ম্যাচের আগের প্রস্তুতির ধারণাকে 'আধুনিক' করেছিলেন তাঁরা। পরিকল্পনা ঠিক করা, একসাথে ড্রেসিংরুম ছাড়া, প্রত্যেক সেশন শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে ড্রেসিংরুমের টেলিভিশন সেট বন্ধ করে দেয়া। ‘অ্যাওয়ে’ কাউন্টিতে খেলতে গেলে সে মাঠে ম্যাচের আগের দিনই অনুশীলন করা, লেস্টারশায়ারই প্রথম কাউন্টি, যারা এই প্রথা চালু করেছিল! আর ছিল নিজেদের মাঝে ‘আইডিয়া’ বিনিময়, ‘বড়’ কাউন্টিগুলোর সঙ্গে যা কাজে দিত খুব করে!  

    চ্যাম্পিয়নশিপে সেবার অসাধারণ কিছু পারফরমার ছিলেন। গ্রাহাম গুচ, ক্রিস কেয়ার্নস, ড্যারেন গফ, গ্রাহাম থর্প, কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশ, টম মুডি, কার্ল হুপার, মাইকেল বেভান, স্টিভ জেমস, শন পোলক, অ্যান্ডি ক্যাডিক। প্রত্যেকেই তারকা, প্রত্যেকেই অসাধারণ সব ইংলিশ-গ্রীস্ম কাটানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। তবে এঁদের কেউ সেবার খেলেননি ফক্সদের হয়ে!

     

    ৬.

    ফক্সদের হয়তো সেরা খেলোয়াড় ছিল না, তবে ছিল সেরা একটা দল। গোটা মৌসুম মিলিয়ে লেস্টারের হয়ে খেলেছিলেন মাত্র ১৩ জন! এঁদের মাঝে শুধু অ্যালান মুলালিই পরে ডাক পেয়েছিলেন ইংল্যান্ড দলে, সেই গ্রীষ্মে। সেই দলের প্রত্যেকেরই যেন কিছু না কিছু প্রমাণের ছিল। মুলালি এসেছিলেন হ্যাম্পশায়ার থেকে, তাঁর নতুন বলের সঙ্গী ডেভিড মিলনস এসেছিলেন নটিংহ্যাম্পশায়ার থেকে। দুজন মিলে নিয়েছিলেন ১১৪ উইকেট। মিডল-অর্ডারের আফতাব হাবিব মিডলসেক্স ছেড়েছিলেন, ওপেনার ভিনসেন্ট ওয়ালস ছেড়েছিলেন কেন্ট। আড্রিয়ান পিয়ারসন বা ম্যাথু ব্রিমসনরা পেস করতেন না স্পিন, তাই জানতো কজন! সে দুজন মিলে নিয়েছিলেন ৭১ উইকেট। পিয়ারসন বা ব্রিমসনের ছিল শুরু, আর গর্ডন পারসনের ছিল শেষ! ৩৭ বছর বয়সী এই মিডিয়াম পেসার তখনও স্বপ্ন দেখে যাচ্ছেন, ওয়াকার ইউনিসের চেয়েও দ্রুতগতির বল করার! আর স্ট্যাম্পের পেছনে ছিলেন পল নিক্সন, যিনি কিনা এতটাই 'বিরক্তিকর', কোনো ঘরে একা থাকলে বোধহয় নিজেই নিজেকে স্লেজিং করতেন!

     

    ফক্সরা ভুলতে বসেছে যে ছবি! 

     

    তবে ছিলেন একজন, যাকে চাইলে তারকার ছায়া বলতে পারেন। তেত্রিশ বছর বয়সে ফিল সিমন্সের ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৪ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা। টেস্টে একটা সেঞ্চুরি, ২৪টা উইকেট। সাধারণ পারফরম্যান্স, বড্ড সাদামাটা। তবে লেস্টারের হয়ে ১৯৯৬ সালে সিমন্স যাই করেছিলেন, হয়েছিল অসাধারণ।

    অসাধারণ হিটিং-ক্ষমতায় করেছিলেন ১০০০-এর ওপর রান, ৯০ মাইল গতির বলে নিয়েছিলেন ৫৬ উইকেট, ইয়া বিশাল আকারের হাতগুলোতে বন্দী করেছিলেন ৩৩টি ক্যাচ! সিমন্স যেন লেস্টারেই বেঁধেছিলেন প্রাণ। টাইগারদের রাগবি দেখতে যেতেন, মার্টিন ও’নেইলের অধীনে লেস্টার সিটির ট্রেনিং দেখতে যেতেন।

    ‘আন্ডারডগ’ তকমা নিয়েও ফূর্তি করা বা বড় দলগুলোর সাথে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকা ফক্সদের ড্রেসিং রুমের এক বড় অংশ ছিলেন সিমন্স। পাঁচ দলকে তারা ইনিংসে হারিয়েছিলেন, দুই দিনের ভেতরেই জিতেছিলেন তিনবার, পুরো মৌসুমে হেরেছিলেন মাত্র একটি ম্যাচ, সারের সঙ্গে।

     

    ৭.

    এই সারেই প্রয়োজনীয় পয়েন্ট না পাওয়ায় শিরোপা নিশ্চিত হয় ফক্সদের। যেমন স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসির সঙ্গে প্রয়োজনীয় তিন পয়েন্ট না পেয়ে ফক্সদের শিরোপা নিশ্চিত করেছে স্পাররা।

    মিডলসেক্সের সঙ্গে ম্যাচে চা-বিরতি চলছে তখন গ্রেস রোডে। উদযাপন শুরু হয়ে গেল তখনোই, একেকজন পান করলেন যেন নায়কোচিত ভঙ্গিমায়! মিলনস, অতি উদযাপন করতে গিয়ে যিনি আগেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, পরদিন সকালে ২১ রানে নিলেন চার উইকেট। জয় নিশ্চিত হলো সে ম্যাচেও। ২৭ পয়েন্টে সে ম্যাচ জিতলো ফক্সরা, মৌসুম শেষ হলো ১০ জয় দিয়ে। আগের পাঁচ মৌসুম মিলিয়ে ছয় ম্যাচ জিতেছিল ফক্সরা। রূপকথা? কে জানে!

    যখন লেস্টার শিরোপা জিতছে, ‘টেস্ট ও কাউন্টি ক্রিকেট বোর্ড’ তার অস্তিত্ব হারাচ্ছে। ইংলিশ ক্রিকেটের নতুন কর্তার নাম হলো ‘ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড(ইসিবি)’। উদ্দেশ্য একটাই, 'ইংল্যান্ড দলই প্রথম, ইংল্যান্ড দলই প্রধান' নীতি গ্রহণ। দুই ডিভিশনের চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তাব এমন উদ্দ্যেশ্যেই করা। লেস্টারের ’৯৬ এর শিরোপা জয় যেন ইংলিশ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের অবনমনেরই পরিচায়ক! মান বাড়াতে তো কিছু একটা করা চাই! প্রস্তাব আসার চার বছরের মধ্যেই তাই ইংলিশ ক্রিকেট দেখলো দুই স্তরের চ্যাম্পিয়নশিপ, ডিভিশন ওয়ান, ডিভিশন টু।

    লেস্টার আবার শিরোপা জিতলো ১৯৯৮ সালে। প্রায় একই দল নিয়েই। ‘ডিভিশন যুগ’ এর প্রথম তিন মৌসুম শেষ করলো ডিভিশন ওয়ানের শীর্ষ পাঁচে থেকেই। তবে রেলিগেশনের খাঁড়ায় পড়তে হলো ২০০৩ সালে, নেমে যেতে হলো ডিভিশন টুয়ে।

     

    সেই যে গেল, লেস্টারশায়ার ডিভিশন ওয়ানে এলো না আর কখনোই! ডারহাম বা সাসেক্স ‘ডিভিশন যুগ’ এই প্রথম চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে, লেস্টার সেখানে লড়াই করছে সেকেন্ড ডিভিশনের সাথেই!

    লেস্টারের গল্পটা যেন ইংল্যান্ডের ছোট কাউন্টির গল্প। যাদের টেস্ট গ্রাউন্ড নেই। যাদের খেলোয়াড় ‘তৈরী’ করার সুযোগ কম। যে নয়টি কাউন্টির টেস্ট গ্রাউন্ড আছে, তাদের আটটিই এবার খেলছে ডিভিশন ওয়ানে। ‘ডিভিশন’ যেন সত্যিই একটা ‘শ্রেনীভাগ’ করলো।

    আজকের কাউন্টিতে মিলনস, মুলালি বা ম্যাডিরা হয়তো ডিভিশন ওয়ানের দলগুলোর তোপে হারিয়েই যেতেন, সিমন্স থাকতেন শুধুই টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে, ক্ষণিকের জন্য!

     

    মার্ক পেটিনিদের কেউ কি হয়ে উঠবেন ভার্ডি-মাহরেজ? 

     

    বাস্তববাদী হিসেবে বিবেচনা করলে, দুই ‘ডিভিশন’-এর কাঠামোর প্রয়োগটা হচ্ছে ভালমতোই। সেরা ক্রিকেটাররা খেলছেন সেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে, বাড়ছে মান। সবচেয়ে বড় কথা, তৈরী হচ্ছে মানসম্পন্ন ক্রিকেটার। হ্যাঁ, তৈরী করে টাকাপয়সাওয়ালা কাউন্টিরা, তবে ‘জন্ম’ দেয় কিন্তু লেস্টারের মতো কাউন্টিই!

    তবে বাস্তববাদীতারও একটা অন্যদিক আছে।

    লেস্টারের মতো কাউন্টিকে এখন শুধু রুপকথা নয়, তাকিয়ে থাকতে হবে এর চেয়েও বেশী কিছুর দিকে! ১৯৯৬ এর সেই রোমাঞ্চ পাওয়া যাবে কই আর!

    ‘প্রমোশন’ পাওয়ার পরের মৌসুমে শিরোপা জিতেছে তাই শুধুমাত্র একটি কাউন্টি, নটিংহ্যামশায়ার, ২০০৪ সালে। তাদের মতোই ‘ধনী’ কাউন্টি ইয়র্কশায়ার গিয়েছিল খুব কাছে, ২০১৩ সালে প্রমোশন পাওয়ার পর তারা হয়েছিল দ্বিতীয়।

     

    ৮.

    লেস্টারের মতো কাউন্টির কাছে ‘প্রমোশন’ যেন শখের জিনিস। দেশসেরা কাউন্টি হওয়ার চিন্তা মাথাতেই আসে না! স্বপ্নগুলো যেন শুধুই অতীত এখন তাই, কী ছিল সেই দিনগুলো! ১৯৯৬ বা ১৯৯৮ সালে গর্ডন, অ্যালান, আড্রিয়ানরা শিরোপা জেতানোর পর কেটেছে ‘মাত্র’ ২০ বছর। কিন্তু এ সময়টাই যেন দীর্ঘ হয়েছে জীবনকাল!

    এ মৌসুমে তিন ম্যাচ খেলেছে লেস্টার। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা এসেক্সের চেয়ে পিছিয়ে আছে ২১ পয়েন্ট, এসেক্স খেলেছে একটি ম্যাচ বেশী। মৌসুম শেষে থাকতে হবে শীর্ষে, তবেই মিলবে প্রমোশন। তারপর, ২০১৭-তে ডিভিশন ওয়ান। সেখানেও থাকতে হবে শীর্ষে। তবেই ফিরে আসবে ‘৯৬। তবেই ফিরে আসবে রূপকথা।

    প্রেরণা?

    একটু ঘাড় তুলে তাকালেই তো হয়, ‘লেস্টার-নগর’ এর ‘কিং পাওয়ার স্টেডিয়াম’ তো অপেক্ষা করে আছে অনুপ্রেরণার ঝাঁপি খুলে! প্রতিবেশীকে নিশ্চয়ই দু'হাত ভরেই দিবে সে!  

    তখন কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে আসবে একটা কেক। গ্রেস রোডকে উপলক্ষ্য করে!