• ইংলিশ লিগ কাপ
  • " />

     

    বিশ্বকাপ-বঞ্চিতদের রাতে শেষ হাসি হালান্ডদের

    বিশ্বকাপ-বঞ্চিতদের রাতে শেষ হাসি হালান্ডদের    

    ম্যানচেস্টার সিটি ৩:২ লিভারপুল 


    বিশ্বকাপের আমেজ কাটতে না কাটতেই আবার ক্লাব ফুটবলের দ্বৈরথ ফিরিয়ে আনল লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি। সাম্প্রতিক সময়ের ধারা বজায় রেখে আরেকটি থ্রিলার উপহার দিয়েছে এই দুই ইংলিশ পরাশক্তি। বৃহস্পতিবার কারাবাও কাপের চতুর্থ রাউন্ডের মাচে ৩-২ গোলের জয় পেয়েছে স্বাগতিক সিটি। গোল পেয়েছেন বিশ্বকাপ-বঞ্চিত হওয়া তিন শীর্ষ তারকা- আর্লিং হালান্ড, মোহামেদ সালাহ ও রিয়াদ মাহরেজ। 

    বিশ্বকাপ ফাইনালের চার দিনের মাথায় কারাবাও কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হতে হয়েছে ইংল্যান্ডের দুই শীর্ষ দলকে। স্বাভাবিকভাবেই পূর্ণশক্তির দল নামাতে পারেননি কোনো ম্যানেজার। তবে দুই দলের মধ্যে সিটির একাদশ খাতায়-কলমে বেশি শক্তিশালী ছিল। লিভারপুল তাদের বিশ্বকাপ-ফেরত কাউকে একাদশে না রাখলেও সিটির একাদশে ছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনা, ইকাই গুন্ডোগান, রদ্রি, আয়মেরিক লাপোর্ত, ম্যানুয়েল আকানজি ও নাথান আকে। বিশেষ করে প্রথম তিনজনের মিডফিল্ড ত্রয়ীই লিভারপুলের বিপক্ষে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট ছিল। থিয়াগোর সঙ্গে তরুণ হার্ভি এলিয়ট ও স্টেফান বাজেটিচকে নিয়ে গড়া লিভারপুল মিডফিল্ড সিটির বিপক্ষে একরকম অসহায় অবস্থাতেই শুরু করে ম্যাচ। 

    লিভারপুল মিডফিল্ডকে ফাঁকি দিয়ে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সামনে দৌড় দেওয়া হালান্ডকে খুঁজে নেন গুন্ডোগান। হালান্ডের চিপ উপর দিয়ে চলে না গেলে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই এগিয়ে যেত সিটি। তবে সিটিকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১০ম মিনিটে লেফট উইং থেকে ডি ব্রুইনার নেওয়া ক্রসে শট নিয়ে গোল করেন হালান্ড। 

    ইতিহাদে সিটি পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করলেও হুট করে সমতা ফিরিয়ে ফেলে লিভারপুল। ২০তম মিনিটে বল নিয়ে উপরে উঠে যান সেন্টারব্যাক জোয়েল মাতিপ। ডানপাশে বক্সের সামনে এসে সামনে থাকা মিলনারকে খুঁজে নেন। মিলনার বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন কারভালিওকে, যার আলতো শটে সমতা ফেরায় লিভারপুল। 

    প্রথমার্ধের বাকি সময়ে দুই দলই পাল্টাপাল্টি আক্রমণ চালাতে থাকে। দুই দলই এগিয়ে যাওয়ার মতো একাধিক সুযোগ পায়। কিন্তু ১-১ ব্যবধানেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। 
    দ্বিতীয়ার্ধেও বিদ্যুৎ গতিতে শুরু করে সিটি। মিডফিল্ড থেকে লং বলে বক্সের গোরায় থাকা মাহরেজকে খুঁজে নেন রদ্রি। বল রিসিভ করে প্রথম টাচে ডিফেন্ডারকে ধোঁকা দিয়ে শট নেন মাহরেজ, আবার এগিয়ে যায় সিটি। 

    তবে এবারও সিটির উদযাপন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। প্রায় সাথে সাথেই দুর্দান্ত এক কাউন্টার-অ্যাটাকে সমতা ফেরায় লিভারপুল। অ্যালেক্স অক্সালেড চ্যাম্বারলিনের বাড়ানো বল নিয়ে বিদ্যুৎ গতিতে সিটির বক্সে প্রবেশ করেন ডারউইন নুনেজ, এবং কাটব্যাক করেন সালাহকে। হালকা টাচে বল জালে জড়ান সালাহ। 

    ৫৮ মিনিটে একটি সর্ট কর্নার থেকে বল নিয়ে বক্সে ক্রস করেন ডি ব্রুইনা। সেই ক্রসে হেড করে সিটিকে তৃতীয়বারের মতো এগিয়ে নেন আকে। জন স্টোনস, ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রিলিসের মতো বদলিদের কল্যাণে এবার লিড ধরে রাখতে সমর্থ হয় সিটি। ম্যাচ শেষ হয় ৩-২ গোলেই। 

    এই ফলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে কারাবাও কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল পেপ গার্দিওলার সিটি।