• ইংলিশ লিগ কাপ
  • " />

     

    লিভারপুলের রেকর্ড দশম লিগ কাপ শিরোপা

    লিভারপুলের রেকর্ড দশম লিগ কাপ শিরোপা    

    চেলসি ১:০ লিভারপুল


     

    মৌসুমের মাঝেই ইয়ুর্গেন ক্লপ ঘোষণা দিয়েছেন, এই মৌসুম শেষে আর লিভারপুলের কোচ থাকছেন না। প্রিয় গুরুর জন্য নিজেদের সর্বস্ব নিংড়ে দিবে লিভারপুলের সবাই - এটাই স্বাভাবিক। কোচের মুখে হাসি ফোটালেন তার অধিনায়কই। নির্ধারিত সময়ে ভার্জিল ভ্যান ডাইকের গোল একবার বাতিল হলেও অতিরিক্ত সময়ে সেই 'বিগ ভি'-এর গোলেই শিরোপার স্বাদ পেল লিভারপুল। ক্লপ তাই পেল নিজের দ্বিতীয় লিগ কাপ; আর লিভারপুল পেল রেকর্ড দশম লিগ কাপ শিরোপা।

    লিভারপুলের সাথে অবশ্য শুরু থেকেই পাল্লা দিয়ে লড়েছে চেলসি। দুই প্রান্তে দুই গোলকিপার আজ যেভাবে নিজেদের মেলে ধরল তাতে ম্যাচে গোল যে মোটে একটাই, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অবশ্য নিজেদেরকেও দুষতে হবে চেলসি খেলোয়াড়দের। ২০ মিনিটের মাথায় তিন তিনবার সুযোগ পেয়েও গোলের দেখা পায়নি চেলসি। বক্সে বল পেয়ে স্টার্লিং গোলমুখে চেষ্টার আগেই বাধাপ্রাপ্ত হলে কোল পালমার বল পেলে তার সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত সেভ করেন কাওমহিন কেলেয়ার। সেখান থেকে আবারও জ্যাকসন বল পেয়ে গেলে গোলকিপার, ডিফেন্ডাররা বলের সামনে নিজেদের বুক পেতে দেন। তবে কিছুক্ষণ পর রায়ান গ্রাভেনবার্শের পায়ে কাইসেদো বুট বসিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিলেও লাল কার্ডের দেখা পাননি। ৩২ মিনিটের মাথায় চাপ ধরে স্টার্লিং গোল পেয়ে গেলেও অফসাইডের জন্য সেটা বাতিল হয়। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে নিজেদের সামলে নিয়ে আক্রমণে উঠলে বাঁ প্রান্ত থেকে বাড়ানো ক্রসে মাথা লাগিয়ে প্রায় গোলের দেখা পেয়ে গিয়েছিলেন গাকপো; তবে পস্ট তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেই যাত্রায়।

    দ্বিতীয়ার্ধ থেকেও খেলায় একই উত্তেজনা। ৫৭ মিনিটের মাথায় এলিয়টের প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হলেও ৬০ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যান ভ্যান ডাইক। লম্বা সময় ধরে উদযাপন করে এরপর লিভারপুল অধিনায়ককে জানতে হল - ভিএআরের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়েছে গোল। 'টেকনিক্যাল অফসাইড;-এর কারণে সেই গোল বাতিল হওয়ায় অবাক হয়েছিল অল রেডদের সবাই। মূলত ভ্যান ডাইক বলে মাথা লাগানোর আগেই চেলসি ডিফেন্ডারকে আটকাতে গিয়ে ওয়াতারু এনদো লাইন থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকায় অফসাইড ধরা হয়। সেটার পরেই কিন্তু আবারও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল চেলসি। গোললাইন থেকে মাত্র দুই গজ দূরে বল পেয়েও বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন অ্যাক্সেল দিসাসি। চেলসির ভাগ্যটাও যেন সেখানেই লেখা হয়ে গিয়েছিল।

    লিভারপুলের তরুণ খেলোয়াড়েরা বরং এরপর দেখাল চমক। কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়ে চেলসির অভিজ্ঞ দলের পরীক্ষা নিয়েছে তারা। তবে দিসাসির সেই মিসটা বিভিন্ন রুপেই যেন চেলসির ফিনিশিংয়ে বারবার ফেরত এল। পালমারের বাড়িয়ে দেওয়া বলে মাত্র আট গজ দূরে বল পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি কনোর গ্যালাঘার। গ্যালাঘার, জ্যাকসনদের একের পর এক মিসে ম্যাচ এরপর অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে লিভারপুলকে আর দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।

    নির্ধারিত সময়ের পরেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও দুই প্রান্তে একের পর এক মিস, আর গোলকিপারদের ক্ষিপ্রতায় গোলের গেরো আর খুলছিল না। ১১৬ মিনিটের মাথায় লিভারপুল গোলের দেখা পেতে পারত। এলিয়টের হেডার দুর্দান্তভাবে পেত্রোভিচ ঠেকিয়ে দিলেন ঠিকই; তবে ভাগ্য তো এদিন তাদের জন্য সুপ্রসন্ন। মিনিটখানেক বাকি থাকতে সেই ভ্যান ডাইকের মাথা থেকেই এল গোল। কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে ভ্যান ডাইক জালে বল জড়ালে লিভারপুলেকে আর শিরোপা বঞ্চিত করতে পারেনি চেলসি।