• এফএ কমিউনিটি শিল্ড
  • " />

     

    তিন বছর পর সিটিকে হারানো আর্সেনালের হাতে কমিউনিটি শিল্ড

    তিন বছর পর সিটিকে হারানো আর্সেনালের হাতে কমিউনিটি শিল্ড    

    ম্যান সিটি (২) ১ : ১ (৪) আর্সেনাল 


    ২০২০ সালে, আর্সেনালের দায়িত্ব পাওয়ার কয়েক মাসের মাথায় এফএ কাপের সেমিতে ম্যান সিটিকে হারিয়েছিল আর্সেনাল। এরপর টানা আট ম্যাচে সাবেক গুরু পেপ গার্দিওলার কাছে হার মেনেছেন আরতেতা। সিটির বিপক্ষে দুই পরাজয়ে গত মৌসুমে লিগ শিরোপাও হাতছাড়া করেছে গানাররা। তবে শেষ পর্যন্ত ‘ভাগ্যগুণে’ সিটিকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে আরতেতার আর্সেনাল। 

    যোগ করা সময়ের একদম শেষ প্রান্তে, ম্যাচের শততম মিনিটে বড়সড় এক ডিফ্লেকশন থেকে পাওয়া গোলে সমতা ফেরানো আর্সেনাল টাইব্রেকারে গিয়ে জিতেছে এবারের কমিউনিটি শিল্ড। 

    আর্সেনালের জন্য এ মৌসুমে কমিউনিটি শিল্ডে জায়গা পাওয়াটাই ছিল ভাগ্যের ব্যাপার। প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ, দুটো সিটি জেতায় লিগের দ্বিতীয় দল হিসেবে এই প্রতিযোগিতামূলক সুপার কাপে আসে আর্সেনালের নাম। 

    স্মরণকালের সবচেয়ে সফল মৌসুম পার করার পর আর্সেনাল এই গ্রীষ্মে দলে যোগ করেছে ইউরিয়েন টিম্বার, কাই হ্যাভার্জ ও ডেকান রাইসের মতো তারকাদের। আগেভাগেই দল গুছিয়ে নেওয়ায় ম্যাচের আগে সিটির চেয়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল আর্সেনালই। কিন্তু, মৌসুমের প্রথম ম্যাচ বলে কথা। মাত্রই প্রাক মৌসুম শেষ করা খেলোয়াড়রা স্বাভাবিকভাবেই এখনো পূর্ণ ছন্দে ফেরেনি। ট্যাকটিসের দিক থেকেও এখনো ঠিকমতো দল গুছিয়ে আনতে পারেননি কোনো ম্যানেজারই। তাই অনেকটা প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচের মেজাজেই এ ম্যাচ খেলেছে দুই দল। 

    প্রথমার্ধে আর্সেনাল একটু বেশি উদ্যমী ফুটবল খেললেও সিটির বিকল্প কিপার স্টেফান অরতেগাকে পরাস্ত করতে পারেননি হ্যাভার্জরা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে ফিল ফোডেন, কেভিন ডি ব্রুইনা ও তরুণ কেভিন পালমারকে বদলি হিসেবে নামান গার্দিওলা। এই তিনজন মাঠে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সিটি আক্রমণভাগের দখল নিতে শুরু করে। ডিবক্সের ডান প্রান্ত থেকে পালমারের নেওয়া বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে ৭৭ মিনিটে এগিয়ে যায় সিটি। 

    এই গোলের পরই যেন কিছুটা থিতিয়ে যায় ম্যাচ। আর্সেনাল সমতা ফেরানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা না করলেও যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে ডিবক্সের জটলায় লিয়ান্দ্রো ট্রসারের নেওয়া শট সিটি ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকানজির পায়ে ডিফ্লেক্টেড হয়ে জালে জড়ায়। 

    অতিরিক্ত সময় না থাকায় এর পরই শুরু হয় টাইব্রেকার। যাতে গোল করতে ব্যর্থ হন ডি ব্রুইনা ও রদ্রি। ওডেগার্ড, ট্রসার, সাকা, ভিয়েরা; আর্সেনালের সবাই লক্ষ্যভেদ করতে সমর্থ হন। ৪-২ গোলে শ্যুট-আউট জিতে শিরোপা জিতে আর্সেনাল।