• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    অজিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং সামলে কোহলি, রাহুলের ফিফটি, রোহিত ঝড়ে ভারতের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ

    অজিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং সামলে কোহলি, রাহুলের ফিফটি, রোহিত ঝড়ে ভারতের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, ফাইনাল, ভারত-অস্ট্রেলিয়া (টস-অস্ট্রেলিয়া/বোলিং)
    ভারত - ২৪০, ৫০ ওভার (রাহুল ৬৬, কোহলি ৫৪, রোহিত ৪৭, স্টার্ক ৩/৫৫, কামিন্স ২/৩৪, হেজলউড  ২/৬০)

     

    আহমেদাবাদে এই আসরে রানতাড়া করা দল জিতেছে চার ম্যাচের তিনটিতেই। এমনকি এই মাঠেই হওয়া শেষ দুই আইপিএল ফাইনাল জিতেছে রান তাড়া করা দল। সেই রেকর্ড আর শিশিরের কথা মাথায় রেখে টসে জিতে বোলিং নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ঠিকই ফাইনালে মেলে ধরেছে নিজেদের। তবে ভারতের বড় নামগুলো রান বের করে এনে দিয়েছে লড়াকু সংগ্রহ।

    টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আরও একবার ভারতকে ঝড়ো শুরু এনে দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৫ম ওভারেই ২০০৩ সালে শচীনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে স্টার্কের বল টেনে মারতে গিয়ে ওই ৪ রানেই গিল ফিরলেও রোহিত ছিলেন অবিচল। উইকেটে এসে সপ্তম ওভারে ওই স্টার্ককে তিন চার মেরে কোহলিও রানের চাকা সচল রাখার বার্তা দিলে নতুন কিছু ভাবতে হয় অধিনায়ক কামিন্সকে। আক্রমণে ম্যাক্সওয়েলকে আনা হলে তার দ্বিতীয় ওভারে তাকে আক্রমণ করতে যেয়েই কামিন্সের পরিকল্পনা সফল করে দেন রোহিত। টানা দুই বাউন্ডারির পর আবারও বেরিয়ে এসে খেলতে গেলে ব্যাটে-বলে না হওয়ায় ক্যাচ দিয়ে ৩১ বলে ৪৭ রান শেষে থামেন রোহিত। অবশ্য কাভার থেকে পেছনে দৌড়ে হেডের নেওয়া দুর্দান্ত ক্যাচটাকেই সেজন্য ধন্যবাদ দিবে অজিরা। এই দুই উইকেট সত্ত্বেও প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৮০ রান তুলে ফেলে ভারত। তবে তার পরের ওভারেই শ্রেয়াসকে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করিয়ে কামিন্স নিজেই অজিদের ম্যাচে ফেরার বার্তাটা দেন।

    আর সেখান থেকেই ম্যাচে নিজেদের কর্তৃত্ব ফলাতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। কোহলির সাথে যোগ দিয়ে রাহুল একেবারেই সুবিধা করতে পারছিলেন না। প্রথম পাওয়ারপ্লের পর ৪০-তম ওভার পর্যন্ত ভারত পেয়েছিল মাত্র ২টি বাউন্ডারি! তার মধ্যে প্রথমটা এসেছিল রাহুলের স্কুপে, ৯৭ বল পর! অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মাঝেও প্রান্ত বদল করায় মনোযোগ দিয়ে ঠিকই ৫৬ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন কোহলি। তবে কামিন্সের বল স্টাম্পে ডেকে ৬৩ বলে ৫৪ রানে কোহলি ফিরলে ম্যাচের মোড়টা শক্তভাবেই ঘুরতে থাকে অজিদের দিকে।

    নিজের ফিফটি বের করতে এরপর রাহুল ৮৬ বল খরচ করে ফেললে বলও রিভার্স করতে শুরু করে। রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে দারুণ রিভার্স সুইংয়ে জাদেজাকে উইকেটের পেছনের ফাঁদে ফেলেন হেজলউড; তাতেই চাপে পড়ে যাওয়া রাহুলকে দুর্দান্ত এক রিভার্স সুইংয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে একই ফাঁদে ফেলে তাকে থামান স্টার্ক। ১০৭ বলে ৬৬ রানে রাহুল ফেরার পর সেই অর্থে আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। একমাত্রা ভরসা হয়ে সূর্যকুমার মাঠে থাকলেও জাম্পাকে কাট করে একটা চারের বেশি বাউন্ডারি বের করতে পারেননি। হেজলউডের স্লোয়ারের দারুণ ব্যবহারে তাকে আবারও একই ফাঁদে ফেলে ২৮ বলে ১৮ রানে ফেরানো হলে ভারত শেষ দশ ওভারে তুলতে পারে মোটে ৪৩ রান। তবে কুলদীপ-সিরাজের শেষ জুটিতে আসা ১৪ রান ভারতকে এনে দিয়েছে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ; আহমেদাবাদে এই সংগ্রহ টপকাতে অজিদেরও লড়তে হবে চোখে চোখ রেখে।