ভালোবাসার প্যারিসে ভালোবাসার অলিম্পিক; শুরু ক্ষণগণনা
আর মাত্র ১০০ দিন। এরপরই শুরু হবে ‘বিগেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিক গেমসের ৩৩ তম আসর। প্রস্তুত ফ্রান্স। প্রস্তুত আয়োজক শহর প্যারিস। শুরু হয়েছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের কাউন্টডাউন। আইকনিক আইফেল টাওয়ার আর সিন নদীর মাঝে বসানো হয়েছে একটি বিশেষ ঘড়ি। ঘড়ির পেন্ডুল প্রতিমুহুর্তে গোটা দুনিয়াকে নিয়ে যাচ্ছে অলিম্পিক্সের আরো কাছে।
এই সিন নদীর পাড়েই বসবে অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ২৬ জুলাই শুরু। মশাল নিভবে ১১ আগস্ট। একটি নির্দিষ্ট স্টেডিয়ামকে ঘিরেই আবর্তিত হয় অলিম্পিক, কমনওয়েলথের মতো গেমসগুলো। যে ভেন্যুতে উদ্বোধন সেখানেই হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। তবে এখানেই প্যারিস আলাদা। প্রথমবারের মত মেইন স্টেডিয়ামের বাইরে উদ্বোধন হবে এবারের আসর। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখো জানিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভেন্যু পরিবর্তন হতে পারে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৬০ হাজার দর্শক হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। হাজার হাজার টিকিট ফ্রি দেওয়ার ওয়াদা করেছিলো ফ্রেঞ্চ সরকার। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যুতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আয়োজন শহর প্যারিস। আর তাই ট বাতিল করা হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফ্রি টিকি। আমন্ত্রিত অতিথি আর পকেটের পয়সা খুরচা করে সর্বমোট ৩০ হাজার দর্শক উপভোগ করতে পারবে কোভিডউত্তর অলিম্পিক্সের ওপেনিং সেরেমনি। প্যারিস অলিম্পিকের নিরাপত্তায় ২০ হাজার সেনার সঙ্গে একযোগে কাজ করবে ৪০ হাজার পুলিশ।
মঙ্গলবার গ্রীসের প্রাচীন শহর অলিম্পিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্জ্বলিত হয় অলিম্পিক গেমস-২০২৪ এর মশাল। একইদিন শুরু হয় প্যারিস অলিম্পিকের ১০০ দিনের ক্ষণগণনা।
বাংলাদেশের কোনও অ্যাথলেটের অবশ্য অলিম্পিক পদক নেই। পদক পরের কথা নিজেদের সেরাটাও খেলতে পারেন না বেশির ভাগ অ্যাথলেট। প্যারিসে ভাগ্যটা বদলাবে কি?
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো অলিম্পিকের আয়োজন করতে যাচ্ছে প্যারিস। এর আগে ১৯০০ ও ১৯২৪ সালে অলিম্পিক আয়োজন করেছিলো ভালোবাসার শহর। ঠিক একশ বছর পর আবারও প্যারিসে ফিরেছে ইলিম্পিক্স। এর আগে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক আয়োজনের হ্যাটট্রিক করে ছিল লন্ডন। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসাতে যাচ্ছে প্যারিস।