• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    আঁটসাঁট বোলিংয়ে আফগানদের ১১৫ রানে আটকে রাখল বাংলাদেশ

    আঁটসাঁট বোলিংয়ে আফগানদের ১১৫ রানে আটকে রাখল বাংলাদেশ    

    সুপার এইট, কিংসটাউন (টস- আফগানিস্তান/ব্যাটিং)
    আফগানিস্তান - ১১৫/৫, ২০ ওভার (গুরবাজ ৪৩, রশিদ ১৯*, ইব্রাহিম ১৮, রিশাদ ৩/২৬, তাসকিন ১/১২, মোস্তাফিজ ১/১৭)




    আজ শুধু জিতলেই হবে না, জিততে হবে বেশ বড় ব্যবধানে - সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার প্রত্যয় নিয়েই যেন আজ নেমেছিল বাংলাদেশ। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানদের মাত্র ১১৫ রানেই আটকে ফেলল তারা। সেমি-ফাইনালে যেতে এখন ১২.১ ওভারে এই লক্ষ্য তাড়া করতে হবে তাদের। তবে ১১৫ রানে থেকে যদি ম্যাচ জয়ী রানটা ছয় মেরে বের করতে পারে, সেক্ষেত্রে ১২.৫ ওভারের মধ্যে রান তাড়া করলেও চলবে; আর চার মেরে শেষ করলে ১২.৩ ওভারের মধ্যে রান তাড়া করলেও সেমিতে যাবে বাংলাদেশ।

    শুরু থেকেই আফগানদের ওপর চেপে বসে পাওয়ারপ্লেতে উইকেটের সম্ভাবনা তৈরি করেও সেটার দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচ মিসে ইব্রাহিম জীবন পেলে পাওয়ারপ্লেতে ২৭ রান তোলে তারা। পাওয়ারপ্লের পর সাকিব, মোস্তাফিজরা যেন আরও চেপে বসে। গুরবাজ-জাদরানদের দুর্দান্ত ওপেনিং স্পেলে তাসকিন ৩ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ৬ রান। এরপর সেটা কাজে লাগিয়ে উইকেট এনে দিতে থাকেন রিশাদ। ব্যাটারের আওতার বাইরে লেগ স্পিন দিয়ে ইব্রাহিমকে লং অনে তানজিম সাকিবের ছুটে আসা ক্যাচে থামান রিশাদ।

    সেই উইকেটের পরিক্রমায় ওমরযাই ফেরেন মোস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। রিশাদকে আক্রমণ করতে হিমশিম খাওয়া আফগানরা তার উত্তর খুঁজে পাননি শেষ ওভারে। স্পেলের শেষ ওভারে সেই একই পরিকল্পনায় পেলেন দুই উইকেট। তবে গুলবদিনকে যেই বলে ফেরালেন রিশাদ তার জন্য ডিপ কাভার থেকে ২৬ মিটার দৌড়ে এসে নেওয়া সৌম্যের দুর্দান্ত ক্যাচকেই ধন্যবাদ দেবেন তিনি। ৫৫ বলে ৪৩ রানে গুরবাজও সেই একই যুগলের শিকার হয়ে ফিরেছিলেন।

    নিজের স্পেলের শেষ ওভারে এরপর তাসকিন যখন নবীকে থামালেন তখন মনে হচ্ছিল শতরানের নিচেই হয়ত আটকে যাবে আফগানরা। তবে অধিনায়ক রশিদ তিন ছয় মেরে তাদের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন। শেষদিকে মাথা গরম করলেও তানজিম সাকিবের শেষ ওভারে দুই ছয়ে দলকে এনে দিয়েছিলেন লড়াইয়ের রসদ।