• বাংলাদেশের ভারত সফর
  • " />

     

    'সুপার' স্যামসনে রেকর্ড গড়া ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ বাংলাদেশ

    'সুপার' স্যামসনে রেকর্ড গড়া ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ বাংলাদেশ    

    ৩য় টি-টোয়েন্টি, হায়দরাবাদ (টস - ভারত/ব্যাটিং)
    ভারত - ২৯৭/৬, ২০ ওভার (স্যামসন ১১১, সূর্যকুমার ৭৫, হার্দিক ৪৭, তানজিম ৩/৬৬, মাহমুদউল্লাহ ১/২৬, তাসকিন ১/৫১)
    বাংলাদেশ - ১৬৪/৭, ২০ ওভার (হৃদয় ৬৩*, লিটন ৪২, তামিম ১৫, বিষ্ণোই ৩/৩০, সুন্দর ১/৪, মায়াঙ্ক ২/৩২)
    ফলাফল - ভারত ১৩৩ রানে জয়ী

    দুর্বিষহ এক সফরের শেষটা হল সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় দিয়ে। বাংলাদেশের বোলারদের রীতিমত তুলোধোনা করে টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে ভারত যেন তফাৎটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

    ২৯৮ রানের জবাবে প্রথম বলেই মায়াঙ্কের পেসে নাস্তানাবুদ ইমন। পাওয়ারপ্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন আরও একটি অসহায় আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশ। তবে নিতিশের এক ওভারে ২০ রান নিয়েছিলেন লিটন। পাওয়ারপ্লের পর লিটন-হৃদয় রান করার চেষ্টা করলেও সেই অর্থে বেগ বাড়াতে পারেনি। লিটন অবশ্য বিষ্ণোইয়ের আঘাতে ২৫ বলে ৪২ রানে ফেরেন লিটন।

    এরপর থেকেই আবারও ছোটখাটো ধস নামে ব্যাটিংয়ে। নিজের শেষ ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ৯ বলে ৮ রান করে মায়াঙ্কের শিকার হয়ে। মাহেদীও এলেন আর গেলেন, রিশাদও রানের খাতা না খুলেই বিষ্ণোইয়ের শিকার হয়ে থামেন। ৩৫ বলে ফিফটি তুলে অবশ্য আসরের প্রথম ফিফটি পান হৃদয়। ৪২ বলে ৬৩* রান করে শেষ পর্যন্ত টিকে যা একটু সান্ত্বনা যোগান তিনি। 

    এর আগে এই হায়দরাবাদে আইপিএলে তোলপাড় করে ফেলা অভিষেককে শুরুতেই ফিরিয়ে তানজিম সাকিব ভিন্ন কিছু করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে এরপর স্যামসন ও সূর্যকুমার মিলে যা দেখাল সেটার জন্য একেবারেই অপ্রস্তুত ছিল বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতেই দুজনে মিলে দলকে নিয়ে যান ৮২ রানে! বাংলাদেশের বোলাররা ততক্ষণেই কিছুটা দিশেহারা। সপ্তম ওভারে রিশাদকে মাঠছাড়া করে ফিফটি পান স্যামসন। এই রিশাদকেই দশম ওভারে পাড়ার বোলার বানিয়ে ছাড়েন তিনি; টানা পাঁচ বলে ছক্কা দিয়ে ওভারে নেন ৩০ রান! পরের ওভারে অন্য প্রান্তে থাকা অধিনায়ক সূর্যকুমার ফিফটি পেয়ে গেলে ভারত তিনশো রানের লক্ষ্য নিয়েই এগুতে থাকে।

    মাহেদীর মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারি বের করে মাত্র ৪০ বলে স্যামসন সেঞ্চুরি পেয়ে গেলে আরও লাগামছাড়া হয়ে ওঠে ভারত। নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিটা স্যামসন পান দেশের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে। মোস্তাফিজ এসে পরে স্যামসনের ঝড় থামান; ৪৭ বলে ১১১ রানের ইনিংসে অবশ্য বাংলাদেশের বোলারদের ততক্ষণে অসহায় বানিয়ে ফেলেছেন স্যামসন। পরে হাত খুলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহর বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৩৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংস শেষে থামেন ভারত অধিনায়ক।

    তবে এই দুজনের বিদায়ের পর যেন হার্দিক-পরাগরা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। সেই সাথে হাস্যকর রান আউট মিস, ক্যাচ মিস, অসংখ্য ফুলটসে বাংলাদেশ যেন নিজেদের জরাজীর্ণ রূপটাই দেখিয়ে দিল। রিয়ান পরাগ ১৩ বলে ৩৪ রানে থামলে পরে হার্দিকও থেমেছিলেন ৪৭ রানে। বাউন্ডারি থেকেই ভারত তুলেছে ২৩২ রান!