টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল: যা করতে হবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা এবং বাকিদের
টেস্ট ফরম্যাটকে আরো আকর্ষণীয় করার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ম্যাচগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগমন। এরই মধ্যে যার দুটি আসর শেষ। তৃতীয় আসরও ধীরে ধীরে এগোচ্ছে সমাপ্তির পথে। তৃতীয় চক্রের ফাইনালের আর মাস ছয়েক বাকি থাকলেও এখনো নিশ্চিত নয় কারা খেলবে ফাইনাল। পাঁচ দলের লড়াইয়ে দারুণভাবে জমে উঠেছে শিরোপার দৌড়।
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের (২০২৩-২৫) ফাইনাল শুরু হবে ২০২৫ সালের ১১ জুন। লর্ডসে অনুষ্ঠিতব্য প্রতিযোগিতার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গা করে নিতে লড়াইয়ে আছে যথাক্রমে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকা। খুব বেশি ম্যাচ বাকি না থাকায় এখন প্রতিটি লড়াই হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে একেকটি দলের জয়, পরাজয় কিংবা ড্রয়ের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে অন্য দলগুলোর ভাগ্য।
যেভাবে এগুতে থাকে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
নয়টি দল নিয়ে চলমান বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে মূলত শতকরা অর্জিত পয়েন্টের মাধ্যমে স্থান নির্ধারিত হয়। তৃতীয় চক্রে লিগ পর্বের লড়াইয়ে নির্ধারিত ২৭টি সিরিজে মোট ৬৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যার ব্যাপ্তিকাল দুই বছর। প্রতিটি দল সমান ছয়টি করে সিরিজ খেলবে। যার তিনটি ঘরের মাঠে এবং তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। প্রতিটি সিরিজে দুই থেকে পাঁচটি করে টেস্ট ম্যাচ থাকে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
তৃতীয় চক্রের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আছে ভারত। শতকরা ৬১.১ ভাগ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। শ্রীলংকাকে হারিয়ে দুইয়ে উঠে আসা দক্ষিণ আফ্রিকার অর্জন ৫৯.৩ শতাংশ পয়েন্ট। শতকরা ৫৭.৭ ভাগ পয়েন্ট পেয়ে তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়া ওপরের দুই দলের সঙ্গে ফাইনালে ওঠার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে। চার ও পাঁচে থাকা নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকাও উঠতে পারে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। দুই দলেরই অর্জন সমান ৫০ শতাংশ পয়েন্ট।
পয়েন্ট টেবিল যেভাবে নির্ধারিত হয়
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য বিজয়ী দলকে ১২ পয়েন্ট দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তারা ১০০% পয়েন্ট অর্জন করেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। ম্যাচ হারলে অবশ্য কোনো পয়েন্ট নেই। পয়েন্টের শতাংশ তখন শূন্য। টাই হলে উভয় দল ৬ পয়েন্ট করে পেয়ে থাকে, পয়েন্টের শতাংশ ৫০। আর ম্যাচ ড্র হলে উভয় দলের প্রাপ্তি ৪ পয়েন্ট। পয়েন্ট অর্জিত হয় ৩৩ শতাংশ।
সিরিজের ম্যাচ সংখ্যার পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে দলগুলো আলাদা পয়েন্ট পেয়ে থাকে। যেমন দুই ম্যাচের সিরিজে ২৪, তিন ম্যাচের সিরিজে ৩৬, চার ম্যাচের ক্ষেত্রে ৪৮ ও পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হলে একটি দল সর্বোচ্চ ৬০ পয়েন্ট পেতে পারে। সিরিজের মোট পয়েন্টের মাঝে একটি দল যত পয়েন্ট অর্জন করে, সেটির শতাংশ হিসেবে পয়েন্ট টেবিলে স্থান নির্ধারিত হয়।
অর্থাৎ কেউ বেশি পয়েন্ট পেলেই টেবিলে এগিয়ে থাকবে এমন নয়। বরং যত পয়েন্টের ম্যাচ খেলেছে, তার ভেতর কত পয়েন্ট পেয়েছে সেটার শতাংশ হিসেবে টেবিলে স্থান নির্ধারিত হয়। যারা যত বেশি শতাংশ পয়েন্ট পায় তারাই টেবিলে এগিয়ে থাকে।
ফাইনাল খেলতে কোন দলের সমীকরণ কেমন
ভারত
এখন পর্যন্ত আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বর দল ভারত। ১৫টি টেস্টের মধ্যে নয়টি জিতেছে রোহিত শর্মার দল। পাঁচটি হারের সঙ্গে আছে একটি ড্র। ভারতের পয়েন্ট ১১০, পয়েন্টের শতাংশ ৬১.১১। আগের দু’বার ফাইনাল খেলা ভারত এবারও ফাইনালের দৌড়ে ফেভারিট। তবে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে নানা সমীকরণ।
ইংল্যান্ডের কাছে নিউজিল্যান্ডের হারে নিশ্চিত হয়েছে তারা সর্বোচ্চ ৫৭.১ শতাংশ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে। ভারত বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে প্রথম ম্যাচ জিতেছে। এখনো বাকি আছে চারটি ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান এই সিরিজে ভারত দুটি ম্যাচ জিতলেই নিউজিল্যান্ড বাদ পড়ে যাবে।
তবে ভারত যদি দুটি ম্যাচ জেতার পাশাপাশি দুটি হারে, সেক্ষেত্রে তাদের পয়েন্ট হবে ৫৮.৮ শতাংশ। বিপরীতে ভারত ও শ্রীলংকার বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ জিতলে ৬০.৫% পয়েন্ট পেতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ফলে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে ভারতকে অন্য দলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ভারতকে দুটি ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি অন্তত একটি ড্র করতে হবে। সেক্ষেত্রে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলবে ভারত। তবে এখানেও ভারত পুরোপুরি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবে না। যদি শ্রীলংকা দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এবং এরপর অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারায়, একইসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারায় তখন ভারত ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যাবে।
এক্ষেত্রে শ্রীলংকা ৬১.৫ শতাংশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ৬১.১ শতাংশ পয়েন্ট অর্জন করবে। ফলে এই দুটি দেশ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলবে। অন্যদিকে ৬০.৫ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে ‘এত কাছে তবু কত দূরে’ বলে আফসোস করতে হবে ভারতকে।
মোটাদাগে বলা যায়, ৫-০, ৪-১, ৪-০ অথবা ৩-০ ব্যবধানে বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি জিতলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলবে ভারত। ৩-১ ব্যবধানে জিতলেও সে সুযোগ থাকবে, যদি দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলংকাকে হারিয়ে দেয়।
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ৩-২ ব্যবধানে জিতলেও ভারতের সুযোগ থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলংকার অন্তত একটি ম্যাচ ড্র করতে হবে। যেখানে ভারত ৫৮.৮ শতাংশ পয়েন্ট পেলেও অস্ট্রেলিয়া ৫৭ শতাংশর বেশি পয়েন্ট পাবে না।
প্রতিটি দলের জন্য ফাইনালের লড়াই আরো কঠিন হবে যদি ভারত ২-২ ব্যবধানে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি শেষ করে। এমনটা হলে ভারতের পয়েন্টের শতাংশ দাঁড়াবে ৫৫.৩। তখন রোহিত-কোহলিদের সমীকরণ দাঁড়াবে- দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২-০ ব্যবধানে শ্রীলংকার হারতে হবে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লংকানদের অন্তত ১-০ ব্যবধানে জিততে হবে।
যদি বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ২-২ ব্যবধানে ড্র হয় এবং এর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলংকা সিরিজও ০-০ ব্যবধানে শেষ হয়, তখন ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলেরই পয়েন্টের শতাংশ হবে সমান ৫৫.৩। এমতাবস্থায় টাইব্রেকারের মাধ্যমে একটি দল ফাইনালে উত্তীর্ণ হবে।
টাইব্রেকারের প্রথম শর্তে সিরিজ জয় সংখ্যা দেখা হবে। যেখানে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দুটি দেশই সমান তিনটি সিরিজ জিতেছে। দ্বিতীয় শর্ত অ্যাওয়ে সিরিজ জয়, এখানেও দুই দল সমানে সমান। তৃতীয় শর্ত আইসিসি র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা। যেখানে ভারতের চেয়ে অস্ট্রেলিয়া উপরে থাকায় তারাই ফাইনালে জায়গা করে নেবে। ভারতকে নিতে হবে বিদায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা
বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা নয়টি টেস্ট খেলে পাঁচটি জিতেছে, হেরেছে তিনটি। একটি টেস্ট ড্র করেছে। প্রোটিয়াদের পয়েন্ট ৬৪। পয়েন্টের শতাংশ ৫৯.২৫। দক্ষিণ আফ্রিকার তিনটি (শ্রীলংকার বিপক্ষে একটি ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি) ম্যাচ বাকি আছে। সবগুলোই হোম সিরিজ। এই তিনটি ম্যাচ জিতলে দলটির পয়েন্টের শতাংশ দাঁড়াবে ৬৯.৩। যার ফলে সরাসরি ফাইনালে উঠবে প্রোটিয়ারা। দুটি ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৬১.১ শতাংশ। এক্ষেত্রে অন্য দলগুলোর সমীকরণের ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করবে। আর একটি ম্যাচ জিতলে ফাইনালে উঠতে পারবে না তারা।
অস্ট্রেলিয়া
পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ১৩টি টেস্টের মধ্যে আটটি জিতেছে ও চারটি হেরেছে। তাদেরও একটি টেস্ট ড্র হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৯০। পয়েন্টের শতাংশ ৫৭.৬৯। নিজেদের বাকি থাকা ছয় ম্যাচের চারটি জিতলে ৬০.৫ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে সরাসরি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তবে জয় সংখ্যা চারের কম হলেই তাদেরকে অন্য দলগুলোর ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে। একটি ক্ষেত্রে অজিরা এগিয়ে থাকবে, শ্রীলংকা সিরিজই এই চক্রের শেষ সিরিজ। ফলে সফরের আগে তারা প্রয়োজনীয় সকল সমীকরণ জেনেই নামতে পারবে। যা ভারতের সমীকরণগুলোর মাঝে তুলে ধরা হয়েছে।
নিউজিল্যান্ড
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলের চারে থাকলেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ফাইনালের দৌড়ে বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে নিউজিল্যান্ড। ১২টি টেস্ট খেলে ছয়টিতে জয় পেয়েছে কিউইরা। সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ১৪৪ পয়েন্টের মধ্যে তাদের সংগ্রহ ৭২। শতাংশের হিসেবে যা ৫০.০০। ইংল্যান্ডের কাছে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে হারের আগে এটি ছিল ৫৪.৫৪। অর্থাৎ, পয়েন্ট তালিকায় জায়গা ধরে রাখলেও পয়েন্ট শতাংশ কমে গেছে তাদের।
ফাইনালে উঠতে চাইলে অন্য দলগুলোর ম্যাচের ফল তাদের পক্ষে আসার বিকল্প নেই। তবে এর আগে তাদেরকে অবশ্যই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি থাকা দুটি ম্যাচ জিততেই হবে। যার মাধ্যমে তারা ৫৭.১ শতাংশ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে। এর পাশাপাশি ভারত যদি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটির বেশি ম্যাচ জিততে না পারে, অস্ট্রেলিয়া চার ম্যাচের তিনটিতে জেতে ও একটি ড্র করে এবং শ্রীলংকা তাদের বাকি থাকা তিন ম্যাচের অন্তত একটিতে হারে, এই তিন সমীকরণ মিললে ফাইনালে খেলবে ব্ল্যাকক্যাপসরা।
শ্রীলংকা
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে থাকা শ্রীলংকা ১০টি ম্যাচ খেলে পাঁচটিতে জয় পেয়েছে। সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ১২০ পয়েন্টের মধ্যে তাদের সংগ্রহ ৬০। শতাংশের হিসাবে ৫০.০০। লংকানদের ফাইনাল খেলার সমীকরণ মূলত তাদের নিজের হাতে। বাকি থাকা ৩ ম্যাচের সবগুলো জিতলে তারা কোনো সমীকরণ ছাড়াই ফাইনালে খেলবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরের ম্যাচ জিততে না পারলে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করলেও সর্বোচ্চ ৫৩.৫ শতাংশ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে লংকানরা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো ম্যাচ না জিতলেই ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যাবে ধনঞ্জয় ডি সিলভার দল।
২০২১ সালে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেবারের ফাইনালে তাদের কাছে হারের পর দ্বিতীয় চক্রের শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়েও হতাশা সঙ্গী হয়েছিল ভারতের। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত সেই আসরের ফাইনালে শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় আসরের ফাইনালে খেলবে কারা, সেটি জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন। তবে শেষদিকে যেভাবে লড়াই জমে উঠেছে, তাতে টেস্ট ম্যাচগুলো নিয়ে সবার আগ্রহ বেড়েছে বহুগুণ। পরোক্ষভাবে যা এই ফরম্যাটের জন্য আশীর্বাদ হয়েই এসেছে।