• " />

     

    মেসির ২১ মাস জেল!

    মেসির ২১ মাস জেল!    

    কর ফাঁকি সংক্রান্ত মামলায় তাহলে ফেঁসেই গেলেন লিওনেল মেসি। গত বছর মনে হচ্ছিল, অনেক দিন গলায় কাঁটা হয়ে থাকা এই ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে যাচ্ছে। স্প্যানিশ আদালত মেসির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উঠিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু ইমেজ স্বত্ব নিয়ে অভিযোগ থেকে বাঁচতে পারেননি মেসি। সেজন্য এখন ২১ মাস জেল হয়েছে বার্সার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। একই কারাদন্ড পেয়েছেন মেসির বাবা হোর্হেও। সেই সঙ্গে দুজনকে জরিমানাও দিতে হচ্ছে। মেসির ক্ষেত্রে জরিমানা ১৭ লাখ ইউরো, তাঁর বাবার জন্য সেটি ২০ লাখ ইউরো। 
    তবে শাস্তি পেলেও কারাগারে হয়তো যেতে হচ্ছে না মেসিকে। স্প্যানিশ আইন অনুযায়ী দুই বছরের নিচে কোন অহিংস অপরাধের শাস্তি জামিনযোগ্য। সেক্ষেত্রে মেসি জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে যেতে পারেন। 
    অনেক দিন থেকেই কর ফাঁকি সংক্রান্ত মামলার অভিযোগ ঝুলছে মেসির ওপর। ২০১৩ সালে স্পেন সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেয়ার মামলা করেছিল। ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ইমেজ স্বত্ব থেকে পাওয়া অর্থের কর দেন নি বলে অভিযোগ উঠেছিল মেসির বিরুদ্ধে। উরুগুয়ে ও বেলিজে এ খাত থেকে পাওয়া ৩০ লাখ পাউন্ড মেসি ও তাঁর বাবা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ ছিল।  

    ওই ঘটনার জেরে বেশ কয়েকবারই আদালতে দাঁড়াতে হয়েছে মেসিকে। ২০১৩ সালে মামলা দায়ের করার পরপরই স্পেন কর্তৃপক্ষকে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মেসি। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তবুও জেল খাটার শাস্তি প্রদানের আবেদন করে মামলা চালিয়ে গেছেন। গত মাসেই কোপা আমেরিকা শুরুর আগে মেসি হাজিরা দিয়েছেন স্প্যানিশ আদালতে। সেখানেই মেসি দাবি করেছিলেন, এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। পুরো ব্যাপারটাই তাঁর অগোচরে হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন।

    অন্যদিকে মেসির বাবাও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন, “আমি এইসব আইন ততটাই বুঝি যতটুকু চাইনিজ বুঝতে পারি। আমার এসব আইন সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই এবং যেকোন প্রস্তাবে আমি শুধু ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ বলেছি। আমার উদ্দেশ্য কেবল ছেলের জীবন সহজ করা এবং ফুটবলে মনোযোগ দিতে তাঁকে সঙ্গ দেয়া।”

     কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, আদালত দুজনের কথায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট হয়নি।