• " />

     

    'পার্টি' বন্ধ করবেন না নেইমার

    'পার্টি' বন্ধ করবেন না নেইমার    

    বয়েসটা সবে চব্বিশ পেরিয়েছে। জীবনটা উপভোগের সময়ই তো। দলবেঁধে আড্ডা, গান, ঘোরাঘুরি- পড়াশুনা কিংবা কাজের অবসরে এটুকু এই বয়সে না হলে আর কখন? আর দশটা ছেলেমেয়ের এমন ‘নিরীহ’ আনন্দে খুব বেশী মানুষ হয়তো ভুরু কুঁচকাবে না। কিন্তু এই বয়সেই যদি গায়ে তারকার তকমা লেগে যায়? তবেই চুলোয় আপনার সাধের ব্যক্তিগত জীবন। কী করা উচিৎ আর কী করা উচিৎ নয়- সে জ্ঞান দিয়েই লোকে প্রাণ ওষ্ঠাগত করে দেবে।তাই বলে নেইমার অতো সহজে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে কাউকে নাক গলাতে দিতে নারাজ। পরিষ্কার করেই বলছেন, সমালোচকদের খুশী করতে নিজেকে কোনো গণ্ডিতে বাঁধার আগ্রহ নেই তাঁর।

     

     

    ব্রাজিলের অলিম্পিক দলের অংশ হতে বর্তমানে দেশে রয়েছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। সেখানেই এক সংবাদ সম্মেলনে জনৈক সাংবাদিক পরোক্ষভাবে তাঁর ‘রাত্রিকালীন’ জীবনের দিকে ইঙ্গিত করে জানতে চান, জাতীয় দলের স্বার্থের সাথে তিনি কোনোরকম আপোষ করছেন কিনা!

     

    ইঙ্গিতটুকু বুঝতে অসুবিধে হয় নি নেইমারের। বিরক্তিটুকুও গোপন করলেন না অভিব্যক্তিতে। তবে উত্তেজিত না হয়ে শান্ত কণ্ঠেই জবাব দিয়ে গেলেন, “আমি মাঠে কী করছি, মনোযোগটা আসলে সেদিকেই থাকা উচিৎ। যে সময়টা আমি মাঠের বাইরে থাকি, ওটুকু পুরোটাই আমার ব্যক্তিগত জীবন।”

     

    মাঠে তাঁর কোনো আচরণ নেই সমালোচনা শুনতে আপত্তি নেই, দাবী নেইমারের, “কার্ড দেখা কিংবা বিতণ্ডায় জড়িয়ে মাঠ ছাড়া নিয়ে কথা বলুন, আমার কোনো আপত্তি নেই।”

     

    কিন্তু? “আমার বয়সটা সবে চব্বিশ। এই বয়সে আমার অনেক অর্জন যেমন আছে, তেমনি এসবের বাইরেও আমার আলাদা জীবন আছে। এসব নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। হ্যাঁ, সমালোচনা করার অধিকার আপনার অবশ্যই আছে। ভুল আমিও করি, আমি কোনো নিখাদ ভালো মানুষ নই। কিন্তু তাই বলে কি আমি বাইরে ঘুরতে যেতে বা বন্ধুদের সাথে সময়ও কাটাতে পারি না?”

     

    জবাবটা নিজেই দিচ্ছেন ব্রাজিলের পোস্টার বয়, “হ্যাঁ আমি পারি এবং এগুলো আমি চালিয়ে যাবো। পরদিন সকালে আমার কি কাজ, সে ব্যাপারে যদি আমি সচেতন থাকি- তাহলে এসবে আমি কোনো সমস্যা দেখি না।”

     

    এরপর সেই প্রশ্নকর্তাকেই উল্টো প্রশ্ন করে বসেন নেইমার, “চব্বিশ বছর বয়সে আপনার যদি আমার মতো অর্জন থাকতো, আপনি কি আমার চেয়ে খুব আলাদা চলতেন?”

     

    ভদ্রলোকের জবাবটা অবশ্য জানা যায় নি!