আর্জেন্টিনার নতুন কোচ বাউজা
তালিকায় ছিলেন সাম্পাওলি-পচেত্তিনো-সিমিওনে। বিবেচনায় ছিলেন র্যামন ডিয়াজ আর মিগুয়েল রুশো। তবে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন শেষ পর্যন্ত আস্থা রাখলেন এদগার্দো বাউজার উপরেই। ৫৮ বছর বয়স্ক বাউজা এর আগে দায়িত্বে ছিলেন ব্রাজিলের ক্লাব সাও পাওলোর।
আর্জেন্টাইন ফুটবলে এমনিতেই চলছে টালমাটাল অবস্থা। মেসি-মাসচেরানোরা তো অকালে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেনই, ফুটবল ফেডারেশনের ওপরও ঝুলছে ফিফার নিষেধাজ্ঞার শংকা। কোপা আমেরিকার ফাইনাল হারের পর কোচ জেরার্ডো মার্টিনো বিদায় নিলে আলবিসেলেস্তেদের নতুন অভিভাবক খুঁজছিল ফেডারেশন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরমান্দো পেরেজ নতুন কোচ নিয়োগের এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
এদগার্দো বাউজা খেলোয়াড়ি জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রাল আর কলম্বিয়ান ক্লাব অ্যাটলেটিকো জুনিয়রে। ডিফেন্ডার পজিশনে খেললেও রোজারিওর হয়ে ৩১০ ম্যাচে করেছিলেন ৮০ গোল। ১৯৮১ সালে জাতীয় দলে ডাক পেলেও তেমন আলো ছড়াতে পারেননি, খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৩ ম্যাচ। '৯০ বিশ্বকাপে রানার্স-আপ দলের স্কোয়াডে থাকলেও খেলার সুযোগ পাননি টুর্ণামেন্টে।
১৯৯৮ সালে শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালের হয়ে বাউজার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু। তবে তিনি এরপরে বছর দুই-তিনেকের বেশি কোনো ক্লাবের ডাগআউটে থিতু হতে পারেননি। গত ১৫ বছরে বদলেছেন নয়টি ক্লাব। এই বছরের শুরুর দিকে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাও পাওলোর। বাউজার কোচিং ক্যারিয়ারে সবচে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেপার্তিভো কুইতোর হয়ে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মত কোনো ইকুয়েডরের ক্লাবকে কোপা লিবার্তাদোরেসের শিরোপা জেতানো। অবশ্য ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছিলেন ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে। ২০১৪ সালে আর্জেন্টাইন ক্লাব সান লরেঞ্জোকে নিয়ে কোপা লিবার্তাদোরেসের শিরোপা জিতেও সবাইকে চমকে দেন বাউজা।
আর্জেন্টাইন ফুটবলের এই দোলাচলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আগামী মাসেই শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য কিভাবে দল গুছাবেন বাউজা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। ১লা সেপ্টেম্বর উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আর্জেন্টাইন কোচ হিসেবে অভিষেক ঘটবে বাউজার।