ইংল্যান্ড সফরে 'আশাবাদী' তিনিও
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ; সে লক্ষ্যে শের-ই-বাংলায় ম্যাশবাহিনীর প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরেই। ছুটি কাটিয়ে ইতিমধ্যেই শিষ্যদের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিলাভারায়ান ও ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসল। আগামী রবিবার সন্ধ্যায় ফিরছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরাসিংহেও। তবে যাঁদের জন্য এত প্রস্তুতি, সেই ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফরই এখনো নিশ্চিত নয়। কারণটাও অনুমিত, সবকিছু ঠিকঠাক থাকার ওই ব্যাপারটা! নিরাপত্তা যখন ‘ইস্যু’, তখন জোর গলায় কিইবা বলতে পারেন কে!
তবে ইংল্যান্ডের আসার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী হ্যালসল। ইংল্যান্ড দলের সাবেক এই ফিল্ডিং কোচের বিশ্বাস, “আশা করি তারা আসবে। আমি মনে করি ইংল্যান্ড পুরো বিশ্বেই ক্রিকেট খেলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলও ক’দিন আগে এখানে খেলে গেছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার অবস্থা ভালো কারণ এটা নিয়ে সবাই এখন সতর্ক। আমার মনে হয় মানুষজন এই ব্যাপারে আশংকার কথা অস্বীকার করছেও না। আর এরকম আশংকা তো সবখানেই আছে।”
গতমাসে গুলশান হামলার পর বাংলাদেশ সফর নিয়ে এউইন মরগান নিরাপত্তার ব্যাপারে ‘সংশয়’ প্রকাশ করেছিলেন। সেই সাথে ইংলিশ অধিনায়ক নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সিরিজ আয়োজনের কথাও বলেছিলেন। তবে এমন প্রস্তাবে সরাসরি না বলে দিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নাজিমুদ্দিন। ২০০৫ সালের লন্ডন বোমা হামলার সাক্ষী ছিলেন হ্যালসল; ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার আগের দিনও ছিলেন হোটেল তাজে ইংল্যান্ড দলের সাথেই। ভয়ংকর দু’টি অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়া এই কোচ ক্রিকেট খেলার জন্য নিরাপদই মানছেন বাংলাদেশকে।
মুম্বাই হামলার পর দেশে ফিরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড দল। তবে নিরাপত্তার ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের আশ্বাস পেয়ে আবার ভারত এসেছিল পিটারসেনবাহিনী। অন্যদিকে গতবছর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসেনি অস্ট্রেলিয়া। হ্যালসল মনে করেন প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাই পাবে ইংলিশ ক্রিকেটাররা, “আমার কাজ হচ্ছে কোচিং করানো এবং ইংল্যান্ডের কাজ খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমার কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ। তবে তারা সফর করবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার। পুরো একটা দলের জন্য এটা অবশ্যই ভিন্ন অবস্থা। আশা করি তারা আসবে। আর আমাদেরও কিছু ক্রিকেট খেলা দরকার।”