জয়েও গার্দিওলার অশনী সংকেত
হাল সিটির কাছে লেস্টার সিটির হেরে যাওয়াটা ছিল অঘটনই। গতবারের শীর্ষ চারে থাকা আরেকদল টটেনহ্যামকেও ১-১ গোলের ড্র-এ সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৭১ মিনিটে যখন গোল করে ম্যাচে সমতা আনলেন জার্মেইন ডিফো তখন প্রথম ম্যাচেই পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা ভর করেছিল গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির। তবে শঙ্কা দূর করে অনেকটা ভাগ্যের জোরে পার পেয়ে গেছে সিটি।
৮৭ মিনিটে সান্ডারল্যান্ড ডিফেন্ডার প্যাডি ম্যাকনেয়ারের আত্মঘাতী গোলের সুবাদে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। মাত্র তিন দিন আগে ম্যানচেস্টারের আরেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে সান্ডারল্যান্ডে পাড়ি জমিয়ে অভিষেকটা ভুলে যাওয়ার মতোই হল এই ডিফেন্ডারের। ম্যাচ জিততে বেগ পেতে হলেও গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি যুগটা শুরু হল জয় দিয়েই।
ম্যাচের মাত্র চার মিনিটেই রহিম স্টারলিংকে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করে ম্যানচেস্টার সিটিকে পেনাল্টি কিক উপহার দেন সান্ডারল্যান্ডের প্যাট্রিক ভ্যান অ্যানোল্ট। স্পট কিক থেকে কুন আগুয়েরো এগিয়ে দেন ম্যান সিটিকে। পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও ম্যাচে নিজেদের লিড বাড়াতে বেগ পেতে হচ্ছিল সিটিজেনদের। এই সুযোগে ম্যাচের ৭১ মিনিটে জ্যাক রডওয়েলের পাস থেকে সিটি গোলরক্ষক উইলি ক্যাবেলিয়েরোর জালে বল জড়িয়ে সমতা ফেরান ডিফো। ইংলিশ গোলরক্ষক জো হার্টকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রেখে ক্যাবেলিয়েরোকে মাঠে নামিয়ে অবশ্য শুরুতেই চমকে দিয়েছিলেন গার্দিওলা।
ম্যাচের শেষদিকে অবশ্য বেশ ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করে ম্যানসিটি। সান্ডারল্যান্ড গোলরক্ষক মানোনেকে প্রায় একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ইয়েনাচো।