• " />

     

    শচীনরাও 'জেতাতে' পারলেন না সিন্ধুকে

    শচীনরাও 'জেতাতে' পারলেন না সিন্ধুকে    

    টুইটারে শচিন টেন্ডুলকারকে ‘ফলো’ করলে হঠাৎ চমকে উঠতে পারেন। ক্রিকেট কিংবদন্তী ব্যাডমিন্টনের কোচ বনে গেলেন নাকি? একের পর এক টুইট করে যাচ্ছেন, কখনও ‘বেসলাইন’ ধরে খেলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তো কখনও মাথা ঠাণ্ডা রাখতে বলছেন। অবশ্য কেবল শচীনই তো নন; শেওয়াগ-অশ্বিনসহ গোটা ভারতই গত ঘন্টাখানেক বুঁদ হয়ে ছিলেন রিওর ২০ বাই ৪৪ ফুটের কোর্টে। ব্যাডমিন্টনে যে ভারতকে প্রথম সোনার স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন হায়দ্রাবাদের মেয়ে পিভি সিন্ধু। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রূপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সিন্ধুকে।

     

     

    শচিন টেন্ডুলকার যেখানে দিনে গড়ে তিন থেকে চারটা টুইট করেন, পিভি সিন্ধুর খেলা চলাকালীন তিনি টুইট করে ফেলেন ১০টি। কখনও সিন্ধুর হয়ে পুরো ভারতকে আশার আলো দিচ্ছিলেন, আবার কখনও সিন্ধুকেই পরামর্শ দিচ্ছিলেন কিভাবে খেলতে হবে।

    টুইট করে সিন্ধুতে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন বীরেন্দর শেওয়াগ। আবার প্রথম সেটের পর ইএসপিএনে সম্প্রচার সাময়িক বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিরক্তি প্রকাশ করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এছাড়া ক্রিকেট ভাষ্যকার আকাশ চোপড়া, উপস্থাপক গৌরভ কাপুরসহ ভারতের বহু তারকাই টুইট করে চলেন একের পর এক।

    তবে শেষ পর্যন্ত সোনা জেতা হয়ে ওঠে নি সিন্ধুর। ফাইনাল ম্যাচটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর তিনি ২-১ সেটে হেরে গেছেন বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ক্যারোলিনা মারিনের কাছে। তাতেও অবশ্য সিন্ধুর ইতিহাস গড়া আটকে থাকে নি। প্রথমবারের মতো ব্যাডমিন্টনে ভারতকে এনে দিয়েছেন রৌপ্য পদক।

    পুরো সময়টার ‘সারমর্ম’ উঠে এলো সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের টুইটে। খেলা শেষে এই ক্রিকেট ভাষ্যকারের টুইট, “এসব ব্যাডমিন্টন বড্ড দুশ্চিন্তার খেলা, আমাদের ক্রিকেটই ভালো!”