গরমকেও 'প্রতিপক্ষ' মানছে ইংল্যান্ড
প্রায় প্রত্যেকের কাঁধেই লম্বা তোয়ালে। আসলে ঠিক তোয়ালে নয়, ভিতরে মুড়ে রাখা পুরোটাই বরফ। হাতে হাতে কোমল পানীয়, একটু পরপরই গলা ভিজিয়ে নিচ্ছেন। মিরপুরের একাডেমি মাঠে ইংল্যান্ড দলের অনুশীলনে এমনটাই ছিল গত দু’ দিনের নিত্য দৃশ্য। গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা ইংলিশ ক্রিকেটাররা পারেন তো পানিতেই সেরে নেন অনুশীলনটা। লন্ডনের ১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে হুট করেই মিরপুরের ৩৫ ডিগ্রিতে এসে পড়ে জস বাটলাররা যে হিমশিম খাচ্ছেন কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে এই ‘প্রতিকূল’ আবহাওয়াকেও তাই ‘প্রতিপক্ষ’ মানছে সফরকারী দল।
গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়ার পর ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের দলে বয়ে গেছে বড় পরিবর্তনের হাওয়া। বদলে যাওয়া দলটার যে ক’জন ক্রিকেটার গত দেড় বছরে নিজেকে আলাদা করে চেনাতে পেরেছেন, জেসন রয় তাঁদের একজন। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত এই তরুণ ওপেনারের কাছে বাংলাদেশ বা মিরপুর নতুন কোনো অভিজ্ঞতা নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ টিটোয়েন্টির প্রথম দু’ আসরে খেলে গেছেন চিটাগং কিংসের হয়ে। তবে ঢাকার শারদীয় দাবদাহে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে ইংল্যান্ডের বর্তমান ওয়ানডে দলটির অন্যতম এই ওপেনারেরও।
ঘরের মাঠে ছন্দে থাকা বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়াটাকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন রয়, “প্রায় সারাক্ষণই হাতের কাছে পানি রাখতে হচ্ছে, গলা ভেজাতে হচ্ছে। আপনি কখন, কতটুকু ঘামছেন সেটাও বুঝতে পারছেন না। আবার হুট করেই কেমন অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। সব মিলিয়ে বেশ কঠিন পরিস্থিতিই। মনোযোগ ধরে রাখাটা তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।”
তবে কন্ডিশন নিয়ে খুব বেশী ভাবার সুযোগ নেই বলেই মন্তব্য দারুণ ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যানের, “এসব নিয়ে এতো ভাবলে তো আর চলবে না, আপনার যেটা কাজ সেটা আপনাকে করতেই হবে। মাঠে নামো, রান করো...ব্যাস!”
সর্বশেষ ৯ ইনিংসে ২টি শতক, ২টি অর্ধশতক। দেশের মাঠের সাফল্যটা বিদেশ অব্দি বয়ে আনতে খুব করেই চাইবেন জেসন রয়। পরিবেশগত প্রতিকূলতা তাই যত দ্রুত জয় করে নিতে পারবেন ততোই মঙ্গল তাঁর তথা দলের জন্য। তবে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের বোলিং ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানকে ফেলবে কঠিন পরীক্ষাতেই, সেটায় কতোটা উৎরাতে পারবেন তা অবশ্য সময়ই বলে দেবে।