হারে প্রাপ্তি ইমরুল-এবাদত
সমীকরণটা দুপক্ষে ছিল দুরকম। ইংল্যান্ডের জন্য যা ছিল বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার, বিসিবি একাদশের অনেকের জন্য তা জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার। প্রথম সমীকরণে ইংল্যান্ড বেশ ভালোভাবে উৎরে গেছে। ৩১০ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে ৪ উইকেট ও ২৩ বল বাকি থাকতেই। অন্যদিকে হেরে গেলেও বিসিবি একাদশের প্রাপ্তিও কম নয়। ৯১ বলে ১২১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা ইমরুল কায়েস যেমন জাতীয় দলে নিয়মিত হওয়ার দাবিটা জোরালো করেছেন তেমনি পেস তূণে নতুন তীর হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছেন তরুণ এবাদত হোসেন।
১১ চার ও ৬ ছক্কায় ১২১ রান।তামিম ইকবাল নয় এই ইনিংস খেলেছেন তাঁর ওপেনিং সতীর্থ ইমরুল কায়েস! ফর্মে না থাকা সৌম্য সরকারের জায়গায় দলে ফেরার দাবিটা জোরাল করেছেন এই বাম হাতি ব্যাটসম্যান। অবশ্য ওপেনিংয়ে ইমরুলের সঙ্গী ছিলেন সেই সৌম্যই। তিনি ব্যর্থ হলেও সুযোগের পুরো সদ্ব্যবহার করেছেন ইমরুল। মূলত তাঁর বেধড়ক পিটুনিতেই ৩০৯ রানের বড় সংগ্রহের ভিত্তিটা গড়ে ওঠে বাংলাদেশের। তাতে অক্সিজেন জোগায় মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন ও নাজমুল হোসেনের ইনিংস। ৫১ রান করে মুশফিক ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও চার রানের জন্য ফিফটির দেখা পাননি নাসির। তাঁদের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে হয়তো আরো উঁচুতে পৌঁছাতে পারতো বিসিবি একাদশের ইনিংস। কিন্তু ইংলিশ বোলাররা ভালোভাবে ফিরে এলে ধস নামে লোয়ার অর্ডারে। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেসার ক্রিক ওকস।
সুযোগ ছিল বিসিবি একাদশের বোলারদের জন্যও। তাতে অবশ্য সফল শুধু পেসার এবাদত হোসেন। ৫ ওভার বল করে ২৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জেসন রয় ও জেমস ভিন্সকে বানিয়েছেন নিজের শিকার। বিমান বাহিনীতে কর্মরত এই বাইশ বছরের তরুণ প্রথম নজর কেড়েছিলেন পেসার হান্টে সর্বোচ্চ গতিতে বল করে। এরপর হাই পারফরম্যান্স দলের পরামর্শক হিসেবে আসা সাবেক পাকিস্তানি পেসার আকিব জাভেদও ইবাদাতকে ‘আগামীর প্রতিভা’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। রত্ন চিনতে যে ভুল হয়নি আকিবের তারই খানিকটা নিদর্শন দেখা গেল আজকের ম্যাচে।
১৭০ রানে ইংল্যান্ডের পঞ্চম উইকেটের পতন হলে খানিকটা সম্ভাবনা তৈরি হয় বিসিবি একাদশের সামনে। কিন্তু অধিনায়ক জস বাটলার ও মঈন আলী কোনো সুযোগ দেননি। দুজন মিলে ১৩৯ রানের জুটি গড়ে জিতিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে। সর্বোচ্চ ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন বাটলার। ৭০ রান করেন মঈন আলী। রানের আর্গলখোলা এ ম্যাচে যেমন স্বস্তি দেবে ইংল্যান্ডকে, তেমনি আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বাংলাদেশেরও।