শেষের ব্যাটিং ভাবাচ্ছে মাশরাফিকে
আফগানিস্তানের সংগে প্রথম ওয়ানডে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানের ৪০ রানের জুটির পরই হুড়মুড় করে ভেংগে পড়লো বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। কেউ কাউকে সংগ দিতে পারলেন না ঠিক। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তৃতীয় উইকেটে ৬১ রান, এরপর ৫৪ রানে নেই ছয় উইকেট। শেষ উইকেটে মোসাদ্দেকের সংগে রুবেলের ৪৩ রানের জুটিতেই যা উদ্ধার, যদিও শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে সে ম্যাচ। তৃতীয় ওয়ানডেতে টপ অর্ডার ভাল করলো, তবে তামিম-সাব্বিরের ব্যাটিংয়ের রেশটা বয়ে নিতে পারলেন না কেউ।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা স্বীকার করছেন সেটা, ’গত সিরিজে এ জায়গাটা বাজে গেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে তো পুরো ব্যাটিংই ভেংগে পড়েছে। শেষ ম্যাচে অবশ্য রিয়াদ ভাল করেছে। তবে তাকে আমরা সেভাবে সমর্থন দিতে পারিনি।’ শেষের দিকে সামান্য কটা রানও ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারে বেশ ভালভাবে। কিন্তু সে সময় ওই রান করাটাও তো চাপ! মাশরাফি বলছেন, সামলাতে হবে সেই চাপ, ‘এ ধরণের ম্যাচে সব জায়গায় ঠিক রাখতে হবে। (আফগানিস্তান সিরিজে) যেসব ভুল ছিল, ঠিক করতে হবে তা। আর যেসব ঠিক করেছি, তা ধরে রাখতে হবে।’
তবে এসব নিয়ে আবার বেশী চিন্তাও করতে চান না, ‘আমি চিন্তিত নই। খেলা কতোটা উন্নত করা যায়, সেটা ভাবছি। আমাদের কাজটা ঠিকঠাক করতে হবে। (তবে) চিন্তা করলেই চাপ বাড়বে।’
আফগানিস্তানের সংগে শেষ দুই ম্যাচে সাত নম্বরে খেলানো হয়েছে মোসাদ্দেককে। কিন্তু এরপরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ভরসা বলতে অধিনায়ক নিজে, আর রুবেল হোসেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মোসাদ্দেকের সংগে জুটিতে রুবেলের সংগ দেয়া ছাড়া বলার মতো কিছু করতে পারেননি কেউ। বেশ কয়েকজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার নিয়ে গড়া ইংল্যান্ড দল এদিক তাই এগিয়েই বাংলাদেশের চেয়ে, ‘ওদের আট নয় দশ নম্বর ব্যাটসম্যানও অনেক ভালো ব্যাট করে। ব্যাটিং তাই অনেক শক্তিশালী ওদের। তবে আমাদের পেসাররাও আবার ভালই করছে।’
তবে সব মিলিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে মাশরাফি বেশ ইতিবাচকই, ‘খারাপ দিন যেতেই পারে, তবে আমাদের ভরসা করতে হবে। ইংল্যান্ডের ওপর আমাদের শ্রদ্ধা আছে শতভাগ। একই সঙ্গে আমরা আমাদের শক্তির জায়গা নিয়েও ভাবছি। খারাপ দিন আসতেই পারে, তবে আমরা ইতিবাচক ভাবেই ভাবছি।’