আফগানিস্তানের ভুল শোধরাতে চান মাশরাফি
গত বছরের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচের পর বিশ্বজুড়ে ওয়ানডে খেলা হয়েছে ৭৫ টি। এর কোনোটিতেই ছিল না বাংলাদেশ। প্রায় এক বছর পর আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ একদিনের ক্রিকেটে ফিরেছে। অনভ্যাসে বিদ্যা হ্রাসের একটা ভয় তো সবসময় থাকেই। মাশরাফি বিন মুর্তজার বিশ্বাস তেমনটা হয়নি। অধিনায়ক মনে করেন ছোটখাট যেসব ভুল আফগানিস্তান সিরিজে হয়েছে সেসব শুধরে নিয়েই আগামীকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে দারুণ ব্যাট করেছেন ইমরুল-মুশফিক-নাসিরেরা। বিশেষ করে ৯১ বলে ১২১ রান করা ইমরুলের ব্যাটটা যেন হয়ে গিয়েছিল ধারালো তরবারি। ছয়টি ছক্কা ও ১১টি চারে যা ইংলিশ বোলারদের জন্য হয়ে উঠেছিল ভীষণ নির্মম। ব্যাটসম্যানদের এমন ফর্মের আভাসে আনন্দিত মাশরাফি এরই ধারাবাহিকতা দেখতে চান মূল সিরিজে, “ইমরুল, মুশফিক ও নাসিরের রান করাটা দলের জন্য ভালো। আশা করি ফর্মটা তারা মূল সিরিজেও ধরে রাখতে পারবে।”
খেলার মধ্যে থাকলে ভুল-টুল কম হয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। অনেক দিন পর ওয়ানডে খেলায় সে সিরিজে বোলারদের কিছু সমস্যা হয়েছে বলে মনে করছেন মাশরাফি, “দশ মাস ম্যাচ খেলিনি আমরা। ম্যাচের ভেতর থাকলে বোলারদের ভুলগুলো দ্রুত ধরা পড়ে। শিখতে পারে তাড়াতাড়ি।” তবে আফগানিস্তান সিরিজের প্রাপ্তিও কম নয় বাংলাদেশ অধিনায়কের চোখে। ২০১৫ সালের অদম্য ফর্মের কথা স্মরণ করে আবার সে পর্যায়ে যাওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন, “আগে মুখস্ত ছিল কখন কী বল করতে হবে। বোলারদেরও সেটা জানা ছিল। এই বিষয়গুলো ঠিক করতে সময় লাগবে।”
কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ মুস্তাফিজুর রহমানের অভাব অনুভব করবে কী না সেটা জানা আছে কেবল মহাকালের। মাশরাফির আশা দলের অন্যরাও সামর্থ্যের সবটুকু নিংড়ে দেবেন মাঠে, “দলে মুস্তাফিজ নেই। আশা করছি দ্রুতই সে ফিরবে। তাহলে বোলিংয়েও শক্তি অনেকটা বাড়বে। তবে যারা আছে তারাও আশা করি তারাও এ সিরিজে ভালো করবে।”
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে চায় বাংলাদেশ। বাছাইপর্বে খেলার ঝক্কি এড়াতে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিজয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে বাংলাদেশের জন্য। মাশরাফি চান আস্তে আস্তে সেদিকে এগুতে। দূর পথে চোখ রেখে খানাখন্দে পড়ে নাকাল হতে চান না, “পরের বিশ্বকাপ অনেক দূরের ব্যপার। আমরা অবশ্যই চাইব যে যেন কোয়ালিফাই না খেলতে হয়। সরাসরি খেলি। কিন্তু এখনই যদি অত দূরেরটা ভাবি, তাহলে এই সিরিজ গুলো কঠিন হবে যাবে।”
আজ দুপুরে বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে কালও। মাশরাফির চোখ রয়েছে সেদিকেও। বৃষ্টিভেজা মাঠে খেলা কঠিন হয়ে যায় স্পিনারদের জন্য। তবে তা বাংলাদেশের জন্য যেমন, প্রতিপক্ষের জন্যও তেমনি সত্য। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন সেটাই, “বৃষ্টির ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। আমি বিশ্বাস করি সেরকম কন্ডিশনে খেলা আমাদের জন্য কঠিন হলে তাদের জন্যও হবে। এটা মাথায় রেখেই আমরা মাঠে নামব। আমরা স্ট্রাগল করলে ওরাও করবে।”
কাল এমন সমানে সমানে লড়াই হলেই পরিতৃপ্ত হবে দর্শক।