ক্যাচ মিসের খেসারত দিল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজে হাত ফসকে পড়েছিল পাঁচটি ক্যাচ। অনেক দিন পর মাঠে নামা, প্রায় দশ মাস পর ওয়ানডে খেলা বলে মাঠের আড়ষ্টতার বড় মূল্য দিতে হয়নি তখন। কিন্তু আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ক্যাচ পড়লো তিনটা। ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসলের শিষ্যদের ভুলগুলোকে বেশ দৃষ্টিকটুই লাগলো। যার ওপর ভিত্তি করে ৩০৯ রানের পাহাড়ে উঠল ইংল্যান্ড।
বেন স্টোকসের প্রথম সেঞ্চুরির সঙ্গে সঙ্গে হয়তো মনটা খারাপ হয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ৬৯ রানেই যে তাঁর ইনিংসটা থেমে যেতে পারতো। সেটা থামাতে পারতেন মাহমুদউল্লাহই। তাসকিন আহমেদের বলে মিড অনে সহজ একটা ক্যাচ ছেড়েছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। প্রথমে ধরে ফেললেও শেষ পর্যন্ত ক্যাচটা ধরে রাখতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। তবে সেখানেই শেষ নয়, স্টোকস বোধহয় সে সময় পণ করেছিলেন আউট হবেন। সেটাও ক্যাচ দিয়েই। ব্যক্তিগত ৭১ রানে মাশরাফির বলে ডিপ কভারে মোশাররফ হোসেনের হাতে আবারও ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার। কিন্তু সেটাও হাত ফসকে পড়ে যায় মোশাররফের। দুবার জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল হয়নি স্টোকসের।
বেন স্টোকসের সঙ্গে ১৫৩ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসের ভিত অনেকটাই গড়ে দিয়েছেন অভিষিক্ত বেন ডাকেট। ফিল্ডারদের বদান্যতায় পেয়েছেন জীবন। ৫৯ রানে স্কয়ার লেগের পেছনে তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন সেই মোশররফ হোসেন। তবে সেজন্য বেশিক্ষণ কষ্ট পেতে হয়নি বাংলাদেশকে। মোশররফকে স্বস্তি দিয়ে শফিউলের শিকারে পরিণত হন ডাকেট। নতুন জীবনের সঙ্গে যোগ করতে পেরেছিলেন মাত্র একটা রানই। শেষদিকে ক্রিস ওকসের সহজ ক্যাচও ধরতে পারেননি মোসাদ্দেক।
শুরুতে অবশ্য বাংলাদেশের ফিল্ডিং ভিন্ন বার্তা দিচ্ছিল। মাঠের মধ্যে দুর্দান্ত কিছু রান বাঁচাতে দেখা গেছে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। বিশেষ করে মাঠে দারুণ সপ্রতিভ ছিলেন সাব্বির রহমান। জনি বেয়ারস্টোকে যে থ্রোতে আউট করলেন তা তো এক কথায় দুর্দান্ত। মাঠের ফিল্ডিং ভালো হলেও ক্যাচ মিসের ভুলগুলোই ইংল্যান্ডকে সাহায্য করেছে বড় সংগ্রহ গড়তে। অবশ্য ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের খেলা কিছু শট ভাগ্যদেবীর ছোঁয়া পেয়ে পড়েছে নো ম্যানস ল্যান্ডে। সব মিলিয়ে মনে রাখার মতো ফিল্ডিং আজ হয়নি বাংলাদেশের।