আবারও বাংলাদেশের শেষের আফসোস
তীরে এসে তরী ডোবার কষ্টটা আজ শূল হয়ে বিঁধবে বাংলাদেশের বুকে। জয়ের এতো কাছাকাছি এসে পরাজয় জুটলে ভালো থাকার কথা নয়। আজ মন খারাপ বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের ২১ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
সকাল দেখে নাকি দিনের ঠিকুজি জানা যায়। ফিল্ডিং দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিল না জয়ের এতটা কাছে যেতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু যেতে যে পেরেছে তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ইমরুল কায়েস ও সাকিব আল হাসানের। প্রিয় প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইমরুলের ১১২ ও সাকিবের ৭৯ রানে একটা সময় স্পর্শ করার দুরত্বে দেখা যাচ্ছিল জয়কে। কিন্তু জেক বলের করা ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলে সাকিব ডেভিড উইলির হাতে ধরা পড়লে ভেঙ্গে যায় দুজনের ১১৮ রানের জুটি। পরের বলেই মোসাদ্দেক প্লেড অন। আশা যাও একটু ছিল তাও শেষ হয়ে যায় আদিল রশিদের করা ৪৪তম ওভারের শেষ বলে ইমরুল কায়েসকে জস বাটলার স্ট্যাম্পড করলে। শেষদিকের ব্যাটসম্যানরা শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন।
ইমরুল-সাকিবের জুটিটাকে বলা যেতে পারে বাংলাদেশের ইনিংসের মেরুদণ্ড। তবে কম গুরুত্বপুর্ণ ছিল না তামিম ও মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ইমরুলের ৪৬ ও ৫০ রানের জুটি দুটিও। প্রস্তুতি ম্যাচে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে ভালো কিছু করতে পারেন নি মুশফিকুর রহিম। শক্তির যে জায়গা স্লগ সুইপ, সেটা নিয়েই বোধহয় আরো কাজ করতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানকে। শেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই স্লগ সুইপ করতে গিয়ে উইকেট খুইয়েছেন মুশফিক।
অভিষেকেই দুর্দান্ত বল করেছেন ইংলিশ বোলার বল। ৫১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী পেসার। তবে ৪৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের জয়ে অবদান কম নয় লেগ স্পিনার আদিল রশিদেরও।
শেষের ধ্বসটা ছাড়া বাংলাদেশের প্রাপ্তি কম নয় এই ম্যাচ থেকে। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন আফগানিস্তান সিরিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা। আজকের ম্যাচ থেকে শিক্ষা অনেক কিছুই আছে বাংলাদেশের।