চার হাজারি ক্লাবে মুশফিক
আদিল রশিদের করা বলটা ঠেলে দিয়ে একটা দৌড় দিলেন মুশফিকুর রহিম। এক রান। এই রানটাই অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেল ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানকে। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের পর তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে চার হাজার রান পূর্ণ হলো মুশফিকের। এজন্য তাঁকে খেলতে হয়েছে ১৬৩টি ওয়ানডে।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে চার হাজার রান করার প্রথম কীর্তিটি ছিল সাকিব আল হাসানের। সেখানে পৌঁছাতে ১৪২টি ওয়ানডে খেলতে হয় এই অলরাউন্ডারকে। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে চার হাজার রান করেন তামিম ইকবাল। সাকিবের চেয়ে চার ম্যাচ কম খেলেই সেখানে পৌঁছান বাংলাদেশি ওপেনার। মজার ব্যাপার হলো, সাকিব ও তামিম দুজনেরই চার হাজার ওয়ানডে রান পূর্ণ হয় গত বছরের বিশ্বকাপে। সাকিব আফগানিস্তান ও তামিম স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে স্পর্শ করেন কীর্তিটা।
একটা সময় ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিয়ে মধুর একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মধ্যে। তবে সাকিবের চেয়ে শ চারেক রান বেশি করে সে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখনটাই এগিয়ে তামিম। ১৫৮ ম্যাচে ৪৯৬২ রান করে তামিম আছেন প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঁচ হাজার রান স্পর্শ করার দোরগোড়ায়। আজকের ম্যাচে এখনো অপরাজিত থাকা সাকিবের রান ৪৫৬০।
চার হাজার রান পূর্ণ করার পথে ৪টি সেঞ্চুরি ও ২২টি ফিফটি করেছেন মুশফিক। সর্বোচ্চ ১১৭ রান করেছিলেন ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লায়। আজ ২১ রান করে জেক বলের শিকার হলে রানের সংগ্রহটাকে ৪০০৯ রানের বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেননি এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।