• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    মাহমুদউল্লাহর পর মাশরাফি ঝড়

    মাহমুদউল্লাহর পর মাশরাফি ঝড়    

    গত ম্যাচের দাপুটে ব্যাটিংয়ের পর আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা গেল অন্য বাংলাদেশকে। শুরু থেকেই খুঁড়িয়ে চলা বাংলাদেশকে মনে হচ্ছিলো গত ম্যাচের ছায়া মাত্র। ৮ উইকেটে ২৩৮ রান করা বাংলাদেশের সংগ্রহটা শেষ পর্যন্ত যে ভদ্রস্থ হলো, তার পেছনে মূল অবদান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ৭৫ রান করে বাংলাদেশকে কেবল লজ্জার হাত থেকেই বাঁচান নি তিনি, বরং মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৫০ ও মোসাদ্দেকের সঙ্গে ৪৮ রানের তাঁর মহাগুরুত্বপূর্ণ দুটি জুটি বোলারদের লড়াই করার যথেষ্ট পুঁজি এনে দিয়েছে। মাহমুদউল্লাহর ইনিংসটার পরেই রুদ্র কালবৈশাখীর মতো আবির্ভাব মাশরাফি বিন মুর্তজার। তিন ছয় ও দুই চারে ২৯ বলে ৪৪ রানের তাণ্ডবটা অধিনায়ক না চালালে যে দুইশো রান পেরোনোটাই কঠিন হতো বাংলাদেশের জন্য।  

    ইংল্যান্ডকে প্রিয় প্রতিপক্ষ বললে হয়তো আপত্তি করবেন না মাহমুদউল্লাহ। ১০ ওয়ানডেতে ইংলিশদের বিপক্ষে ৩৫৪ রান করেছেন তিনি। রানের হিসেবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। সমান ম্যাচে ৩৭৪ রান করে এই অলরাউন্ডারের সামনে আছেন শুধু ইমরুল কায়েস।

    আজকের ম্যাচে যখন মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করতে এলেন তখন ৮.৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান করেছে বাংলাদেশ। ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল। সে দমবন্ধ অবস্থায় ব্যাট করতে এসে প্রথম বলেই ক্রিস ওকসকে মারলেন চার। ক্রিজের অন্যপ্রান্তে ব্যাটসম্যানরা যখন ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ঢিমেতালে ব্যাট করছিলেন সেখানে দারুণ ব্যতিক্রম মাহমুদউল্লাহ। অর্ধশতক পূর্ণ করতে মাত্র ৫১ বল খেলেন এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ছয়টা চারে  ৮৮ বলে ৭৫ রান করেন তিনি। দলকে ১৬৬ রানে রেখে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি বিদায় নিলে মনে হচ্ছিল দুইশো রানের নিচেই থেমে যাবে বাংলাদেশের ইনিংস। কিন্তু সেটা হতে দেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়কের মতোই বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে আসা ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রানের প্রতিটিকে দর্শক স্বাগত জানিয়েছে তুমুল হর্ষধ্বনিতে। মঈন আলীকে দুটি ও ডেভিড উইলিকে একটি ছক্কা মারার পর নির্জীব গ্যালারিতে সঞ্চার হয়েছে নতুন প্রাণের।

    মাহমুদউল্লাহ-মাশরাফির লড়াইয়ে ভালো একটা সংগ্রহ হয়েছে বাংলাদেশের। এখন বাকি কাজটা করতে হবে বোলারদের।