ব্যাটে-বলে দারুণ নাসির
আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যে দলে সুযোগ পেলেন সেজন্য দেশের মানুষকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন নাসির হোসেন। অনেকটা ‘জনদাবি’র মুখেই তো তাঁর দলে আসা। দেশের মানুষকে অবশ্য হতাশ করেননি রংপুরের এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে অপরাজিত ২৭ রানের পর বল হাতেও দুর্দান্ত নাসির। ১০ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন মঈন আলীর গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
ধুমকেতুর মতোই বাংলাদেশ দলে আগমন নাসিরের। অভিষেক ওয়ানডেতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পেয়েছিলেন ফিফটি। লোয়ার অর্ডারে এতটাই নির্ভরশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন যে তাঁর নামই হয়ে যায় ‘দ্য ফিনিশার’। সেই নাসিরই কী না আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলেন নিজেকে। গত বছরের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর শুধু সুযোগ পেয়েছিলেন মার্চে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে। তাতে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পেলেও দল থেকে ব্রাত্যই হয়ে পড়েন তিনি। এরপর সুযোগ মিললো আজকের ম্যচে। আর তাতেই নাসিরের বাজিমাত।
ইংল্যান্ডকে ২৩৯ রানের লক্ষ্য দেওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়ে উঠেছিল মাশরাফি ও নাসিরের মধ্যে। দুজনের ৬৯ রানের সে জুটিই তো জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর মতো একটা সংগ্রহ এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। আক্রমণাত্মক মাশরাফিকে সঙ্গ দিতে ব্যস্ত হলেও নিজেও খারাপ করেননি ২৪ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
বল হাতে আরো দুর্দান্ত নাসির। ১০ ওভার বল করে ২৯ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। আঁটোসাটো বল করে নিয়েছেন একটা মেডেনও। ব্যাট ও বলে নাসিরের দারুণ পারফরম্যান্স প্রশংসা কুড়িয়েছে অধিনায়ক মাশরাফিরও। ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রশংসা বৃষ্টিতে ভিজিয়েছেন সতীর্থকে।
নাসিরকে দলে রাখার পেছনে অন্যতম যুক্তি ছিল তাঁর ফিল্ডিং। গত ম্যাচে প্রায় ৩৫ বছর বয়সী মোশাররফ হোসেন দুটি ক্যাচ ফেলার পর আরো জোরালো হয় তাঁকে ফেরানোর দাবি। সেটা যে নিছক আবেগের ছিল না তার প্রমাণ রাখতেই যেন বাউন্ডারিতে জেক বলের দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন নাসির। ইংল্যান্ডের ইনিংসে শেষ পেরেকটাও সাথে ঠুকে দিলেন।
নাসিরকে দলে নেয়াটা ছিল জনগণের চাপ। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে দারুণ খেলে নির্বাচকদের ওপর যে চাপ সৃষ্টি হলো সেটা অবশ্য নাসিরের নিজের অবদান।