অগ্নিগর্ভ চট্টলার অপেক্ষায় ওকস
প্রথম ম্যাচটা একরকম বাংলাদেশের মুঠো থেকে ছিনিয়েই নিয়ে গেলেন তাঁরা। আটচল্লিশ ঘন্টা না পেরোতেই দেখতে হলো মুদ্রার উল্টো পিঠটাও, এ যাত্রায় ইংলিশদের কব্জা থেকে জয়টা বের করে নিলেন মাশরাফিরা। ফলাফল, চট্টগ্রামে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হতে যাচ্ছে সিরিজ নির্ধারনী। টাইগারদের জন্য ‘পয়া’ ভেন্যু খ্যাত চট্টলায় (সর্বশেষ ৮ ম্যাচের ৭টিতেই জয়) নিজেদের টানা সপ্তম ওডিআই সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। তবে ইংলিশ ক্রিকেটার ক্রিস ওকস বলছেন, চট্টগ্রামের এই ‘চ্যালেঞ্জ’ নিতে প্রস্তুত আছেন তাঁরা। সেই সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেটপাগল দর্শকদের নিয়েও নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন এই পেসার।
গত রাতের হার নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও ওকস আশা করছেন চট্টগ্রামে দারুণ এক ম্যাচই হবে, “২৩৯ না করতে পারার মতো রান ছিল না। কিন্তু আমরা একের পর এক উইকেট হারিয়ে কাজটা কঠিন করে ফেলেছিলাম। গত ১২ মাস ধরে আমরা দারুণ ব্যাটিং করছি, কিন্তু এই রাতটা আমাদের ছিল না। সিরিজটা জিতে নেয়ার একটা দারুণ সুযোগ ছিল, দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেটা কাজে লাগাতে পারি নি। আশা করছি, চট্টগ্রামে একটা জমজমাট ম্যাচ হবে।”
মিরপুরের উত্তাপ যে চট্টগ্রামেও টের পাওয়া যাবে, তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছেন ওকস। তবে সেটা উপভোগই করছেন ইংলিশ পেসার, “দারুণ একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে। জানি বেশ উত্তপ্ত একটা পরিবেশই অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য, তবে আমরাও মুখিয়ে আছি সেটার জন্য।”
এই মুগ্ধতা মিরপুর থেকেই নিয়ে যাচ্ছেন তিনি, “দুর্দান্ত পরিবেশ এখানে। খেলার জন্য চমৎকার জায়গা। বিপুল পরিমাণ স্থানীয় দর্শকের সামনে আপনি খেলছেন যারা কিনা তাঁদের ক্রিকেটটাকে ভালোবাসে- এর অংশ হতে পারাটা সত্যিই অসাধারণ। ওঁদের দল যখন ভালো করছে তখন তাঁরা আপনার উপর রীতিমতো চড়ে বসবে, সেটা হতে না দেয়াটাই আপনার কাজ।”
সবশেষে ওকসের সমীহ মাশরাফিদের জন্যও, “বাংলাদেশ আমাকে মুগ্ধ করছে। আমি জানি দেশের মাটিতে তাঁদের রেকর্ড সত্যিই ভালো, ঘরের মাঠে সর্বশেষ ২০টা ওয়ানডের মাত্র ৩টা হেরেছে তাঁরা। নিজেদের কন্ডিশনে তাঁরা সত্যিই সমীহ করার মতো, দারুণ কিছু খেলোয়াড়ও আছে দলটায়। কঠিন এক ম্যাচই তাই অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য, তবে আমরাও প্রস্তুত আছি।”