বাংলাদেশকে ছয়েই থামিয়ে দিল ইংল্যান্ড
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ডটা মাত্র ২২৬ রানের। সেটাই প্রেরণা জোগাচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে রেকর্ডের জন্মই তো ভাঙ্গার জন্য। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে পাঁচ বছরের পুরনো রেকর্ডটা অনায়াসে ভেঙ্গে দিয়েছে ইংল্যান্ড। আজ শেষ ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে জস বাটলারের দল। সেই সঙ্গে ভেঙ্গে দিয়েছে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের টানা সাতটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন।
যে বৃষ্টির শঙ্কায় রিজার্ভ ডের ভাবনা এসেছিল ক্রিকেট কর্তাদের মাথায় তার কথা মনে পড়লো না পুরো ম্যাচে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময়ই বোঝা যাচ্ছিল মাঠ ও পিচ কতটা ব্যাটিং বান্ধব। সেটা আরো স্পষ্ট হয়েছে ইংল্যান্ডের ইনিংসের সময়। অবশ্য ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ওভারটা মেডেন নিয়ে স্বাগতিক দর্শকদের স্বপ্নটাকে সস্নেহে ডালপালা মেলতে দিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তারপরও শুরুতেই এলো না উইকেট। ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের শুরুটা হলো ৬৩ রানের জুটি গড়ে। এটাই এই সিরিজে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।
দ্বাদশ ওভারে বল করতে এসে চতুর্থ বলেই ভিন্স-বিলিংসের জুটিটা ভাঙ্গেন নাসির। ৩২ রান করে এলবিডব্লিউ হন ভিন্স। এরপর বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ দেয়নি ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। স্যাম বিলিং-বেন ডাকেটের ৬৪ ও জনি বেইরস্টো-বেন ডাকেটের ৪৫ রানের জুটি দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে দেয় ইংলিশদের। তারপর সে ভিত্তি থেকে জয়ের পথে যাত্রা। সেখানে যেতে আর পা হড়কায় নি ইংল্যান্ডের। বেন স্টোকস ও জস বাটলারের পঞ্চম উইকেট জুটিতে ওঠে ৪৮ রান। বাটলারকে ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। তারপর অনুমিতভাবে বাংলাদেশ দলের উদযাপনটা হলো সাদামাটা।
দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার মাশরাফি ও শফিউল। বল হাতে সিরিজটা স্মরণীয় হলো বাংলাদেশের অধিনায়কের। ৮ উইকেট নিয়ে আদিল রশিদের পর হয়েছেন সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এর সাথে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংসটা যোগ করুন। প্রথম ম্যাচটা জিততে জিততে হেরে না গেলে এই সিরিজের অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে অনেক দিন মনে রাখতেন ৩৩ বছর বয়সী মাশরাফি।
৪৭তম ওভারে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরার একটা সুযোগ দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু ক্রিস ওকসের সহজ ক্যাচ স্লিপে দাঁড়িয়ে ফেলে দেন ইমরুল কায়েস। তবে সিরিজের প্রাপ্তি যে কিছু নেই, তা নয়। এবারই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ।