ঘুমের জন্য অনুশীলনে দেরি
‘বিশ্ব যখন নিদ্রামগন গগন অন্ধকার’- এমন সময় কী আর দুই চোখের পাতা খুলে রাখা যায়! পারেন নি হাসিব হামিদও। ১৯ বছর বয়সী ইংলিশ ওপেনার ডুবে গিয়েছিলেন ঘুমের অতলে। ঘুমাতে তো তিনি পারেনই, কিন্তু সেজন্য ঘটে গেছে বিষম এক কাণ্ড। ঘুমে মগ্ন হাসিব হামিদের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে পুরো ইংল্যান্ড দলকে। তাঁদের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর শত শত সদস্যকে। চোখেমুখে জল দিয়ে যখন ছুটতে ছুটতে হাসিব বেরিয়ে এসেছেন হোটেলের লবি দিয়ে, টিম বাসকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে হয়েছে পুরো আট মিনিট।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রেগ ডিকাসনের বজ্রকঠিন নিরাপত্তা প্রস্তাব বাংলাদেশ মেনে নেওয়ার পরই সফরে এসেছে ইংল্যান্ড। সফরকারী বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের সমতুল্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে দলটির জন্য। ইংল্যান্ড দলের চলাচলের জন্য রাস্তাও বন্ধ রাখা হচ্ছে। সবকিছু করা হচ্ছে ঘড়ির কাঁটা কঠোরভাবে মেনে। কিন্তু গত পরশু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনে যাওয়ার আগে খানিক্ষণের জন্য থমকে যেতে হলো ৩৯ সদস্যের ইংল্যান্ড দল ও নিরাপত্তা বাহিনীর অগুণিত সদস্যকে। কারণ তখনো যে টিম বাসে এসে পোঁছাননি হামিদ!
মাত্রই আগের দিন বাংলাদেশে এসেছেন হামিদ। জেট ল্যাগের ঝক্কিটাও কাটেনি ঠিকমতো। সে কারণেই হয়তো একটু ঘুমটা পেয়ে বসেছিল টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাটসম্যানকে। পুরো দলকে অপেক্ষায় রাখার পরও কোনো শাস্তি পেতে হচ্ছে না তাঁকে। কিন্তু গ্রায়েম সোয়ানের অভিজ্ঞতাটা মাথায় রাখলে ভবিষ্যতে আর এমন ভুল আর হয়তো করবেন না হামিদ।
১৯৯৯-২০০০ সালে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন ইংলিশ স্পিনার। তাঁর সময়জ্ঞান দেখে কোচ ডানকান ফ্লেচার এতই বিরক্ত হয়েছিলেন যে আর দলেই জায়গা দেন নি। সেবার বাদ পড়ার পর সোয়ানকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০০৮ পর্যন্ত। পিটার মুর কোচ হওয়ারই দলে ঢুকতে পেরেছিলেন ইংল্যান্ডের ইতিহাসে অন্যতম সফল এই স্পিনার। ট্রেভর বেলিসের শ্যেন দৃষ্টি এড়াতে ভবিষ্যতে ঘুম নিয়ে সতর্ক হতে হবে ‘বেবি বয়কট’ পরিচিতি পাওয়া হামিদকে।