সাত বছর পর আবার দশে মাশরাফি
মাশরাফি বিন মুর্তজা- নামটাই যেন এক অন্তহীন প্রেরণা। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১৫টি বসন্ত পেরিয়ে আগের কীর্তির পুনরাবৃত্তি গড়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৬ ধাপ এগিয়ে মাশরাফি উঠে এসেছেন ওয়ানডেতে ৯ নম্বর র্যাঙ্কিংয়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে ৮ উইকেট নেয়ার পুরস্কার র্যাঙ্কিংয়ে পেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তবে মাশরাফি নন, ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এখনো বাংলাদেশের শীর্ষ বোলার সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ৩ উইকেট নেয়ার পর এক ধাপ পিছিয়ে সাকিবের অবস্থান ৬ নম্বরে। তবে বোলিংয়ে পেছালেও অলরাউন্ডার হিসেবে যথারীতি বিশ্বসেরা সাকিব।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে মাশরাফির ওয়ানডে র্যাঙ্কিং ছিল ১৫। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দুর্দান্ত বোলিং করার পর সেই তিনিই পৌঁছান দশ নম্বরে। শেষ পর্যন্ত সিরিজ শেষে দেখা পেলেন ক্যারিয়ার সেরা নবম অবস্থানের। চোট জর্জর ক্যারিয়ারে মাশরাফি অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন র্যাঙ্কিংয়ে। ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের পর র্যাঙ্কিংয়ে তাঁর অবস্থা হয়েছিল ১৭৫। এরপর ধাপে ধাপে তাঁর এগোনোর পালা। সেরা দশে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেন ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে। এরপর হয়তো এগোতে পারতেন আরো সামনে। কিন্তু ওই যে চোট, সেটাই চোরাবালির মতো বারবার টেনে ধরেছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
র্যাঙ্কিংয়ে সেরা পারফরম্যান্স হলেও রেটিংয়ের হিসেবে এটাই অবশ্য মাশরাফির সেরা নয়। ২০০৯ সালে যেবার প্রথমবারের মতো দশম অবস্থানে পৌঁছালেন সেবারই ক্যারিয়ার সেরা ৬৫৩ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন মাশরাফি। বর্তমানে তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৬২৩।
ব্যাটিংয়ে গতকালের ফিফটিতে র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয় ১৯ নম্বরে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এখন তিনিই শীর্ষে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে ছয় ধাপ এগিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। উঠে এসেছেন ৪২ নম্বরে। এছাড়া ২২ নম্বরে তামিম ইকবাল, ২৪ নম্বরে সৌম্য সরকার ও ৩৪ নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান।