নির্বাচকদের বার্তা দিলেন মজিদ-নাজমুল
প্রস্তুতি ম্যাচের অর্থ তো এটাই। নিজেদের সামর্থ্যে শান দিয়ে আসল ম্যাচের জন্য যথাসম্ভব প্রস্তুত হওয়া। সেটা আজ ভালো মতোই সেরে নিলেন বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে বিসিবি একাদশ সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান করেছে। ৯৫ বলে ১০৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন ওপেনার আব্দুল মজিদ।
ওয়ানডেতে তামিমের ওপেনিং সঙ্গী কে হবেন তা নিয়ে অনেক পরীক্ষা হলেও টেস্টে অনেকটাই থিতু ইমরুল কায়েস। গত বছরই তো পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট জুটির রেকর্ডটা গড়েছিলেন তামিম-ইমরুল। অবশ্য এরপরও তাঁদের ঠিক নিরাপদ বলা যায় না। কারণ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে দারুণভাবে জ্বলে ওঠেন বাংলাদেশের অন্য ওপেনাররা! আজ যেমন ছিল ২৫ বছর বয়সী আব্দুল মজিদের দিন। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে নির্বাচকদের নোটখাতায় নিজের নামটা টুকে রাখতে বাধ্য করেছেন ময়মনসিংহের তরুণ।
শুরু থেকেই মজিদ চড়াও ছিল ইংলিশ বোলারদের ওপরে। লাঞ্চের আগেই ৮৬ বলে ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ক্র্যাম্পটা খুব ভোগালে টিম ম্যানেজমেন্ট লাঞ্চের পর আর নামায়নি এই ওপেনারকে। সে সময় অবশ্য চালকের আসনে বসে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৩০ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ৯টি চার মেরেছেন শান্ত। ভবিষ্যতের সম্ভাবনারও দিয়েছেন জানান।
২৫৩ রানে তানভীর হায়দারের উইকেট হারালে আবারও ক্রিজে আসেন আব্দুল মজিদ। স্টিভেন ফিনের ওভারে দুটি চার মেরে পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে। পরের ওভারে স্টুয়ার্ট ব্রডকে চার মারলেও শেষ বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ড্রেসিংরুমে।
ব্যাট হাতে দারুণ সাবলীল ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ও নুরুল হাসান। ৪৯ বলে ৪৭ রান করা মোসাদ্দেক ছিলেন দারুণ আক্রমণাত্মক। দুটি চারের পাশাপাশি গ্যারেথ ব্যাটি, মঈন আলী ও জো রুটের বলে মেরেছেন একটি করে ছক্কাও। ৬৯ বলে ৩৯ রান করেছেন নুরুল হাসান।
ইংল্যান্ডের পক্ষে সফলতম বোলার টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা জাফর আনসারি। ৬৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন স্পিনার গ্যারেথ ব্যাটি ও পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড।
দিনশেষে দুই রানে অপরাজিত আছেন ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেট ও হাসিব হামিদ।