ক্রিকেটের স্বার্থেই এমন ত্যাগ কুকের
নবজাতকের জন্মের দু’দিনও পেরোয় নি। অ্যালিস্টার কুককে উড়াল দিতে হল পরিবার ছেড়ে। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশী টেস্ট খেলার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ইংলিশ ক্যাপ্টেন বলছেন, ক্রিকেটের স্বার্থে অনেক ধরণের ত্যাগই তাঁদের স্বীকার করতে হয়। পারিবারিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টুকু পরিবারের পাশে থাকতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এটুকু মেনে নিচ্ছেন তিনি।
দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম উপলক্ষে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে খেলা নিয়েই সংশয় ছিল কুকের। তবে শেষ পর্যন্ত খেলার সিদ্ধান্তই নেন ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্যাপ্টেন। এমনকি সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য সময় নেবেন বলে ঢাকায় পা রাখেন একটু আগেভাগেই। মাঝে ফিরে গিয়ে আবার দলের সাথে যোগ দিয়েছেন গতকাল।
পুরো ব্যাপারটা নিয়ে যেন খানিক মিশ্র অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন কুক, “৪৮টা ঘন্টা একটু আবেগঘনভাবেই কেটেছে। সন্তানের জন্মের ১৮ ঘন্টার মাথায় পরিবারকে ছেড়ে আসার পর আপনার নিজেকে আদর্শ স্বামী বা বাবা মনে হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে আমি খুশী যে সব ভালোয় ভালোয় সম্পন্ন হয়েছে।”
কুক বলছেন ক্রিকেটের স্বার্থেই এমন ত্যাগ, “খেলাটার জন্য এ ধরণের ত্যাগ আসলে আমাদের অনেক সময়ই স্বীকার করতে হয়। আর ইংল্যান্ডের মতো দলের নেতৃত্ব দিতে পারাটা তো অবশ্যই অনেক বড় সম্মানের। আপনি তো আর জানেন না এই নেতৃত্ব বা ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ আপনি কতদিন পাবেন। সে বিবেচনা থেকেই আসলে আমরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেই নিজের কর্তব্যটুকু পালন করে যাওয়ার।”
এই মুহুর্তে অ্যালেক স্টেওয়ার্টের সাথে যৌথভাবে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশী টেস্ট খেলার রেকর্ডটার (১৩৩) মালিক তিনি। চট্টগ্রাম টেস্টে মাঠে নামলেই সেটা এককভাবে তাঁর হয়ে যাবে। এছাড়া খেলতে যাচ্ছেন ক্যারিয়ারের টানা ১৩২তম টেস্ট। একমাত্র অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডারেরই আছে একটানা এরচেয়ে বেশী টেস্ট (১৫৩) খেলার রেকর্ড।