• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    আবার নতুন শুরু!

    আবার নতুন শুরু!    

    শূন্য থেকে শুরু!

    টেস্ট সিরিজ যায়, কিন্তু টেস্ট সিরিজ যেন আসতেই চায় না! এ এক অন্যরকমের চক্র, অনেকদিন বাদে খেলতে নামে বাংলাদেশ, যখন অভ্যস্থ হওয়া শুরু করে, টেস্ট ক্রিকেট থেকে তখনোই যেন যেতে হয় নির্বাসনে! গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শেষ খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর আগামীকাল চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম টেস্ট খেলতে নামার আগে কেটে গেছে ১৪ মাসেরও বেশী সময়! বাংলাদেশের এটি ৯৪তম টেস্ট। বাংলাদেশের অভিষেকের পর থেকে এ সময়ে সবচেয়ে বেশী টেস্ট খেলেছে ইংল্যান্ড, ২০৩টি! সবচেয়ে কম জিম্বাবুয়ে, ৫৪টি। তবে দীর্ঘদিন টেস্ট থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিল জিম্বাবুয়ে।

     

    ফিরবেন ব্যাটি?

    বাংলাদেশ জড়িয়ে আছে তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের সঙ্গেই। অভিষেক বাংলাদেশের সঙ্গে, শেষ টেস্টটাও খেলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গেই। তবে এর মাঝে কেটে গেছে ১১ বছরেরও বেশী সময়। দুই টেস্টের মাঝে সবচেয়ে লম্বা বিরতির রেকর্ডটা অবশ্য গ্যারেথ ব্যাটির এ সময় ব্যবধানের প্রায় দ্বিগুণ। জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা, দুই দেশের হয়েই খেলা জন ট্রাইকোস নিজের চতুর্থ টেস্ট খেলার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন ২২ বছর ২২২ দিন!

     

    কিপার মুশফিক

    ৪৮ টেস্টের ৪৩টিতেই উইকেটকিপিং করেছেন। তবে শেষ তিনটা টেস্টে করতে পারেননি আঙ্গুলের চোটের কারণে। সে চোট কেটে গেছে, মুশফিকও ফিরছেন গ্লাভস হাতে। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক একান্তই কিপিং করতে না পারলে অভিষেক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নুরুল ইসলাম সোহানের।

     

    সবার উপরে কুক!

    অ্যান্টিগা থেকে নাগপুর, প্রায় জরুরী ভিত্তিতে ডাক পেয়ে টেস্ট খেলতে এসেছিলেন অ্যালেস্টার কুক। ১ মার্চ, ২০০৬, নাগপুরে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। যে যাত্রাটা শুরু হয়েছিল, তা চলছেই। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন আগেই, এবার দাঁড়িয়ে আরেকটি মাইলফলকের সামনে। চট্টগ্রাম টেস্ট হবে কুকের ১৩৪তম, ইংলিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। তিনি কাটিয়ে যাবেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালেক স্টুয়ার্টের ১৩৩ টেস্ট খেলার রেকর্ড।

     

    ইংল্যান্ড ৮, বাংলাদেশ ০

    চারটি সিরিজ, আটটি টেস্ট। দুইটি বাংলাদেশে, দুইটি ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ড জিতেছে আটটি টেস্টই, তিনটি আবার ইনিংস ব্যবধানে। বাংলাদেশের মাটিতে শেষ টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক করে পাঠানো হয়েছিল অ্যালেস্টার কুককে। তিনিই এখন ইংল্যান্ডের পূর্ণকালীন অধিনায়ক, তবে বাংলাদেশের সঙ্গে সে সিরিজ থেকে এখনকার ইংল্যান্ড দলে আছেন মাত্র দুজন, কুক আর স্টিভেন ফিন। বাংলাদেশ অবশ্য এদিক দিয়ে অভিজ্ঞ, আছেন ছয়জন। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজে সর্বোচ্চ রান ও উইকেট, দুটোই অনুমিতভাবে দুই ইংলিশের। ইয়ান বেলের রান ৬৩৩, ম্যাথু হোগার্ড নিয়েছেন ২৩টি উইকেট।

     

    ডাকেট না হামিদ?

    অ্যালেক্স হেলস নেই, অ্যালেস্টার কুকের ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে তাই নতুন একজনের অভিষেক হয়ে যাবে কাল। কিন্তু বেন ডাকেট, নাকি হাসিব হামিদ? অভিষেক হয়ে যেতে পারে আবার দুজনেরই, সেক্ষেত্রে একজনকে খেলতে হবে মিডল অর্ডারে।

     

    কামরুল, মিরাজ, সাব্বির নাকি সোহান?

    বাংলাদেশ স্কোয়াডে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন চারজন। ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান, পেসার কামরুল ইসলাম, উইকেটকিপার নুরুল ইসলাম, অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। একজনের তো অভিষেক হবেই, বাকি তিনজনকে অপেক্ষা করতে হবে টিম-কম্বিনেশনের ওপর।