• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    মিরাজের স্বপ্নের অভিষেক

    মিরাজের স্বপ্নের অভিষেক    

    সর্বশেষ সেই ২০০৮ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে হয়েছিল ঘটনাটা। এর পর এক টেস্টে তিনজনের অভিষেক কখনো দেখেনি বাংলাদেশ। আজ চট্টগ্রাম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেটিই হলো, টেস্ট ক্যাপ পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান ও কামরুল ইসলাম। কে জানত, তিনজনের মধ্যে সেই অভিষেক মিরাজ এভাবে রাঙিয়ে দেবেন ?

    দ্বিতীয় ওভারেই তরুণ এই অলরাউন্ডারকে বোলিংয়ে এনেছিলেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ওভারেই পেয়েছেন দারুণ টার্ন ও বাউন্স। প্রথম চার ওভারেই বিস্তর ভুগিয়েছেন দুই ওপেনারকে। তবে প্রথম উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে পঞ্চম ওভার পর্যন্ত। লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বলটা ভেঙে দেয় বেন ডাকেটের অফস্টাম্প। ১৪ রান করেই ফিরে যান আরেক অভিষিক্ত ইংলিশ ওপেনার।

    দ্বিতীয় ব্রেক থ্রুর জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। দুই ওভার পরেই সাকিবকে সুইপ করতে গিয়েছিলেন কুক। কিন্তু দুর্ভাগ্যই ইংলিশ অধিনায়কের, বলটা ওপরে উঠে গিয়ে সরাসরি আঘাত হেনেছে স্টাম্পে। পরের ওভারেই আবার মিরাজের আঘাত, এবার এলবিডব্লুর আবেদন উপেক্ষা করেছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু মুশফিক ডিআরএস নেওয়ার পর সিদ্ধান্তটা গেছে তাঁর পক্ষেই। এলবিডব্লু হয়ে মাত্র ১ রানেই ফিরে গেছেন গ্যারি ব্যালান্স।

    ওই রিভিউ নেওয়ায় মুশফিকের যতটা তৃপ্তি ছিল, পরে আরেকটি সিদ্ধান্তে সেটি হয়তো অনেকটাই কমে গেছে। মঈন আলীর বলটা স্টাম্পে লেগেছে বলেই মনে হয়েছিল, কিন্তু মুশফিক রিভিউ নেননি। পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে, সেটি নিলে মিরাজ পেয়ে যেতে পারতেন নিজের তৃতীয় উইকেট।

    শেষ পর্যন্ত সেই মঈন আলী ও জো রুট মিলেই হতাশ করেছেন বাংলাদেশকে। চতুর্থ উইকেটে দুজন এখন পর্যন্ত ৬০ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন আছেন। রুট অপরাজিত ৩৮ রানে, মঈন ব্যাট করছিলেন ১৭ রানে। ইংল্যান্ড ৮১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে গেছে লাঞ্চে।