• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    জনসনকে টয়লেটে ঠেসে ধরেছিলেন ওয়াটসন

    জনসনকে টয়লেটে ঠেসে ধরেছিলেন ওয়াটসন    

    এক-একটা আত্মজীবনী বেরুচ্ছে আর ফাটছে বোমা। যে কথাগুলো অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা চেপে রেখেছিলেন মনের গহীনে, আত্মজীবনীর হাতছানিতে তা একে একে বেরিয়ে আসছে। এবার তাতে যোগ দিলেন সাবেক পেসার মিচেল জনসনও। সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনী ‘রেজিলিয়েন্ট’ এ প্রকাশ করেছেন এমন এক তথ্য যা ভীষণ চমকে করে দিয়েছে পাঠকদের। খেলাচ্ছলে নাকি কমোডের ভেতর অস্ট্রেলীয় গতি তারকার মাথা ঠেসে ধরেছিলেন সতীর্থ শেন ওয়াটসন।

    ২০০০ সাল। অ্যাডিলেডের ক্রিকেট একাডেমিতে প্রস্তুত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যতের তারকারা। সারাদিনের ট্রেনিং-প্র্যাকটিসের ঝক্কি শেষে সেসময় ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় বিনোদন ছিল টিভিতে জনপ্রিয় সিরিজ ‘নেইবরস’ দেখা। কিন্তু শুধুই টিভিপর্দায় চোখ রাখা নয়, আসল মজাটা ছিল বিজ্ঞাপন বিরতিতে একে-অন্যের সঙ্গে কুস্তি লড়াতে। বিরতি এলেই একে-অন্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তেন ক্রিকেটাররা। এভাবে একদিন এলো মিচেল জনসনের খারাপ দিন। কুস্তি লড়ার সময় কয়েকজন সতীর্থ তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। চ্যাংদোলা করে ধরে নিয়ে যান বাথরুমে। সেখানেই হঠাৎ কেউ তাঁর মাথাটা ধরে ডুবিয়ে দিয়েছিল কমোডের ঘিনঘিনে জলে।

    কোনরকমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে দাঁড়ান জনসন। রাগে ভাটার মতো জ্বলছিলেন। সামনে যাঁকে পেলেন তারই শার্টের কলার চেপে ধরলেন। সে লোকটাও শক্ত করে চেপে ধরলো তাঁর কলার।

    ঘুষোঘুষি শুরু হয়ে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে লোকটার দিকে তাকালেন জনসন, “আরে! এতো ওয়াটসন। আমার বন্ধু।”


    সে মুহূর্তে কলার ছেড়ে দিলেন জনসন। কলার ছাড়লেন শেন ওয়াটসনও। অবশ্য সহসাই রাগটা পড়ে যায়নি বাঁহাতি পেসারের। স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন লেগেছিল তাঁর।

    মজার ব্যাপার হলো এই ওয়াটসনের সঙ্গেই পরবর্তীতে নিবিড় বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল জনসনের। সেটা টিম ম্যানেজমেন্টের এতোই চোখে লেগেছিল যে ২০১৩ সালের ভারত সফরের সময় ‘বেশি বেশি মেলামেশার কারণে’ দুজনকেই দল থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।