• " />

     

    এমন হারেও শেষ চারে চট্টগ্রাম

    এমন হারেও শেষ চারে চট্টগ্রাম    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    চট্টগ্রাম ভাইকিংস ২০ ওভারে ১১১/৯ (মালিক ৬৭*, আফিফ ৫/২১)

    রাজশাহী কিংস ১৩.৫ ওভারে ১১২ (ফ্রাঙ্কলিন ৬৩*, সাকলাইন ২/৯)

    ফলঃ রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী


    ৩৭ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতল রাজশাহী কিংস। কিন্তু তারপরও যেন একটু হতাশার ছায়া ড্যারেন স্যামিদের মুখে। কিন্তু এমন একটা জয়ের পর রাজশাহী সেভাবে উদযাপন করল না কেন?  চট্টগ্রাম ভাইকিংসকে হারানোর পরও যে ভাগ্য তাদের নিজেদের হাতে নেই। আর হেরেও প্লে অফে যাওয়ার উদযাপন করতে পেরেছে চট্টগ্রাম। রানরেটের চুলচেরা হিসেব যে তাদের শেষ চার নিশ্চিত করে দিয়েছে।

    রাজশাহীর জয়ের জন্য দরকার ছিল ২০ ওভারে ১১২। কিন্তু রানরেটের ব্যবধানে চট্টগ্রামকে টপকে যাওয়ার জন্য ম্যাচটা জেতার দরকার ছিল ১৩ ওভার ২ বলে। সেই কাজটা তারা প্রায় করেই ফেলেছিল। ৮ ওভারের পর যখন তাদের রান ২ উইকেটে ৪০, চট্টগ্রামকে টপকে যাওয়ার জন্য পরের ৩২ বলে তাদের দরকার ছিল ৭২ রান।

    সেখান থেকে ঝড় শুরু করলেন জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন। মোহাম্মদ নবীর বলে চার ও ছয় মেরে শুরু। সবচেয়ে বেশি তোপ চলল ইমরান খানের ওপর। ১১তম ওভার থেকে এলো ১৫ রান, ম্যাচ তখন রাজশাহী প্রায় জিতেই গেছে, কিন্তু চট্টগ্রামকে টপকাতে পারবে কি না সেটি নিয়েই প্রশ্ন। কিন্তু চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ১৩.৫ ওভার খেলতে হলো তাদের। একটুর জন্য টপকে যেতে পারল না চট্টগ্রামকে।  

    কিন্তু রাজশাহীর যে শুরুটা দরকার ছিল, সেটা এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার। মুমিনুল হক ও নুরুল হাসান প্রথম ৬ ওভারে নিতে পেরেছেন ৩২ রান। মাঠের বাইরে প্রশ্নবিদ্ধ কাণ্ডে বিতর্কিত সাব্বির আরও একম্যাচে ফ্লপ। শেষদিকে ফ্রাঙ্কলিনের ২৭ বলে রানের ইনিংসেও কাজ হয়নি।

    তার আগে চট্টগ্রামকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন রাজশাহীর নবাগত আফিফ হোসেন। প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন কেসরিক উইলিয়ামস, প্রথম বলেই ফিরিয়ে দিয়েছেন তামিম ইকবালকে। এরপর আফিফের অফস্পিনে পথ হারিয়েছে চট্টগ্রাম। একে একে তুলে নিয়েছেন জহুরুল, গেইল, জাকির, সাকলাইন ও ইমরান জুনিয়রকে। এক প্রান্তে অবশ্য শোয়েব মালিক আগলে ছিলেন। তাঁর ৫৪ বলে ৬৭ রানেই চট্টগ্রাম শেষ পর্যন্ত ১০০ পেরুতে পেরেছে। একটু ভুল হলো, এই ইনিংসটাই তো চট্টগ্রামকে নিয়ে গেছে শেষ চারে।