• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    মুস্তাফিজের ফেরায় রুবেলের তোপ

    মুস্তাফিজের ফেরায় রুবেলের তোপ    

    স্কোর দ্বিতীয় দিন শেষে 

    সাউথ জোন ৪০৩ (এনামুল ৮৯, জিয়াউর ৭২; এবাদত ৩/৮৫)

     ইস্ট জোন ১৪৪ (রুবেল ৫/২২) এবং ৭৪/৫


     

    নর্থ জোন ৫০২ (জুনায়েদ ১৮১; তাইবুর ৩/৩৩)

    সেন্ট্রাল জোন ১২০/৩ (সাইফ ৫২; আরাফাত ২/৩৩)


     

    সেই ২০১৫ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ সাদা পোশাকে নেমেছিলেন। এর পর ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি খেললেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আর নামা হয়নি। এবারের ভারত সফরেও ম্যাচ ফিটনেসের অভাবে দলে নেই। নির্বাচকেরা বলেছিলেন, বিসিএল দিয়েই আবার বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে ফিরবেন মুস্তাফিজুর রহমান। অবশেষে আজ সিলেটে সাউথ জোনের হয়ে আবার মাঠে ফিরলেন, উইকেটও পেয়েছেন দুইটি। তবে দিনটা ছিল মুস্তাফিজেরই সতীর্থ রুবেল হোসেনের, এক দিনেই ছয় উইকেট নিয়ে দলের জয়ও প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছেন।

    মুস্তাফিজের হিসেবে দিনটা হয়তো খুব ভালো যায়নি। প্রথম ইনিংসে ৯ ওভারে ৩২ দিয়ে পেয়েছেন দুইটি উইকেট। ইরফান শুক্কুরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ইনিংসের প্রথম বলেই, পরে আউট করেছেন শাহানুরকে। প্রতিপক্ষ ইস্ট জোনে ফলোঅনে পড়ায় সুযোগ পেয়েছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসেও বল করার। ৪ ওভার বোলিং করে সেখানে এখন পর্যন্ত অবশ্য উইকেট পাননি। তবে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে ফেরাটাকেই প্রাপ্তি হিসেবে মানবেন।

    তবে ভয়ঙ্কর ছিলেন মুস্তাফিজেরই সতীর্থ রুবেল। সাউথ জোনের ৪০৩ রানের পর ব্যাট করতে নেমে মূলত রুবেলের তোপেই ইস্ট জোন গুটিয়ে গেছে ১৪৪ রানে। মেহেদী মারুফকে দিয়ে শুরু, এরপর একে একে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাসামুল হক, অলক কাপালি, সাকলাইন সজীব ও খালেদ আহমেদকে।

    দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবার বিপর্যয়ে পড়েছে ইস্ট জোন। ৭৪ রান তুলতে হারিয়েছে ৫ উইকেট, ইনিংস পরাজয়টাও বলতে গেলে সময়ের ব্যাপার। তবের রুবেল-মুস্তাফিজ নন, এবার মূল ঘাতক স্পিনাররা। রাজ্জাক ও সোহাগ গাজী মিলে নিয়েছেন তিন উইকেট। রুবেল পেয়েছেন একটি উইকেট, অন্যটি রানআউট।

    তবে চট্টগ্রামে দিনের অন্য খেলায় নর্থ জোনের জুনায়েদ সিদ্দিকী আক্ষেপ করতেই পারেন। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ২৮ রান দূরে প্রথম দিন শেষ করেছিলেন, কিন্তু আর মাত্র নয় রান যোগ করেই আউট হয়ে গেছেন দ্বিতীয় দিনে। তাঁর দল অবশ্য সেন্ট্রাল জোনের সঙ্গে ৫০২ রানের পাহাড়ে চড়েছে। ব্যাট করতে নেমে সেন্ট্রাল জোনকে পথ দেখাচ্ছেন অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান। দ্বিতীয় দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে।