সানজামুলের ৯ উইকেটে বিফলে সোহানের সেঞ্চুরি
জাতীয় দলের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্যাট হাতে এখনও সেভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন নি। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সুযোগ পেয়ে চাপের মুখে খেলেছেন ৪৭ রানের ইনিংস। বিসিএলে সেন্ট্রাল জোনের হয়ে আজ শতরান করে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে সামর্থ্যের জানানটা দিয়ে রাখলেন আরও একবার। কিন্তু উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ প্রথম শ্রেণীর সেঞ্চুরিটা বিফলেই গেলো সানজামুল ইসলামের বিধ্বংসী বোলিংয়ে। নর্থ জোনের এই বাঁহাতি স্পিনার ৯ উইকেট নিয়ে কার্যত একাই ধ্বসিয়ে দিয়েছেন সেন্ট্রাল জোনের ব্যাটিং। আর সে সুবাদে এক দিনের খেলা বাকি থাকতেই ইনিংস ও ৫০ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তাঁর দল।
প্রথম ইনিংসে নর্থ জোনের করা ৫০২ রানের জবাবে সেন্ট্রাল জোনের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৩৩ রানে। সেন্ট্রালের হয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসানের ৯৩ রানের ইনিংসটির পর উল্লেখযোগ্য রান পেয়েছেন কেবল নুরুল হাসান সোহানই (৩৭)। নর্থের পক্ষে ফরহাদ রেজা ৪টি ও সানজামুল ইসলাম ৩ উইকেট নেন।
২৬৯ রানে পিছিয়ে থেকে ফলো অনে পুনরায় ব্যাট করতে নেমে ২৯ রানে টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে সেন্ট্রাল জোন। সানজামুলের স্পিনে কাবু হয়ে একপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতেই পড়তে থাকে উইকেট। তবে অপরপ্রান্ত আগলে সোহান তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ প্রথম শ্রেণীর সেঞ্চুরি। তবে এমন প্রতিরোধেও শেষ পর্যন্ত দলের ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারেন নি, ওই সানজামুলের বলেই এলবিডব্লু হয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন ১১৩ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে সেন্ট্রাল জোন অলআউট হয়ে যায় ২১৯ রানে। ওপেনার আব্দুল মজিদের রান আউট বাদে বাকি ৯টি উইকেটই নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার।
বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৯ উইকেট পেয়েছেন এর আগে আরও ৩ জন। আব্দুর রাজ্জাক ২ বার, মোশাররফ রুবেল আর সাকলাইন সজীব একবার করে। এক ইনিংসে এখনও পর্যন্ত সেরা ফিগার সজীবের ৯/৮২-এর রেকর্ডটা অবশ্য ৪ রানের জন্য ছুঁতে পারেন নি সানজামুল। এর আগে সানজামুলের ক্যারিয়ারসেরা ফিগার ছিল ১০৬ রানে ৮ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ নর্থ জোন ৫০২ (জুনাইদ ১৮১, ধীমান ৬১; তাইবুর ৩/৩৩, শহীদুল ৩/১১৪); সেন্ট্রাল জোন ২৩৩ (সাইফ ৯৩; ফরহাদ রেজা ৪/৩৮) ও ২১৯ (সোহান ১১৩; সানজামুল ৯/৮৬)
ফলঃ নর্থ জোন ইনিংস ও ৫০ রানে জয়ী।