রানআউট, ক্যাচ এবং একটি আফসোসের সেশন
স্কোরকার্ড
টস ভারত
ভারত ২৭ ওভারে ৮৬/১ (বিজয় ৪৫, পূজারা ৩৯; তাসকিন ১/১৭)
স্কোরকার্ড দেখাচ্ছে ভারতের রান ৮৬ রানে ১ উইকেট। কিন্তু স্কোরকার্ড বলছে না, সেটা অনায়াসেই ২ বা ৩ উইকেট হতে পারত। স্কোরকার্ড বলছে না, পড়ে পাওয়া সুযোগ অমনভাবে ফেলে না দিলে হায়দরাবাদ টেস্টের প্রথম সেশনটা হতে পারত বাংলাদেশের।
অথচ সকালে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। তাসকিন আহমেদের দিনের প্রথম বলে ২ রান নিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। পরের দুই বল ডট, চতুর্থ বলটা অফস্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথে। সেটি তাড়া করতে গিয়ে বল নিজের স্টাম্পে টেনে আনেন রাহুল। প্রথম ওভারেই সাফল্য পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
তাসকিন নতুন বলে বল করছিলেন দারুণ। প্রথম কয়েক ওভারে ভারত ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো চেপেই ধরেছিলেন। তবে পরের উইকেটটা পেয়ে যেতে পারতেন রাব্বি। দশম ওভারে চেতেশ্বর পূজারার ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচও তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম স্লিপের একটু আগে এসে পড়ে বল। রাব্বির আফসোস থাকতেই পারে, মুশফিক ডাইভ দিলে হয়তো ক্যাচটা ধরে ফেলতে পারতেন।
সেই আফসোস পরে বাংলাদেশের শুধুই বেড়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজের জন্য তো সেটি আরও বেশি। তাঁর এক ওভারেই যে দুইবার ঠিক একই জায়গায় ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন পূজারা ও বিজয়। দুবারই একটুর জন্য স্লিপের পাশ দিয়ে চলে গেছে বল। আরেকজন ফিল্ডার ওই জায়গায় থাকলে হয়তো একটা হলেও ক্যাচ ধরা যেত। মুশফিকের রক্ষণাত্মক অধিনায়কত্ব নিয়েও উঠে গেছে প্রশ্ন। তবে পরে মিরাজই নষ্ট করেছেন দিনের সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগ।
১৯তম ওভারে ভারতের রান যখন ৬৬। মিরাজের বলটা স্কয়ার লেগে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে পূজারার সঙ্গে একই প্রান্তে চলে এসেছিলেন। রাব্বি বলটা ধরে থ্রো করেছিলেন, রান আউট না হওয়াটাই সেখান থেকে মহা বিস্ময়ের। কিন্তু রাব্বির দুর্বল থ্রোটা আরও হাস্যকরভাবে ধরতে পারলেন না মিরাজ। বেঁচে গেলেন বিজয়, আরেকটি সুযোগ হেলায় হারাল বাংলাদেশ। কে জানে, দিন শেষে হয়তো বাংলাদেশকে এর জন্যই দিতে হবে চড়া মূল্য।