• ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    ক্যাচ, স্টাম্পিং এবং আবারও আক্ষেপ

    ক্যাচ, স্টাম্পিং এবং আবারও আক্ষেপ    

    স্কোর

    ভারত

    ২য় দিন ১ম সেশন শেষে

    ভারত ১২১ ওভারে ৪৭৭/৪ (কোহলি ১৯১*, রাহানে ৮২; তাইজুল ২/৭৯)


    ৩১ ওভারে নিতে পেরেছে মাত্র ১ উইকেট, ভারত করেছে ১২১ রান। সেশনটা পুরোপুরি ভারতেরই তো বলা উচিত। তবে আগের দিনের সকালের মতো বাংলাদেশ আজও আফসোস করতে পারে। সুযোগগুলো কাজে লাগালে আর ভাগ্য একটু পক্ষে থাকলে বাংলাদেশ আরও বেশি উইকেট নিতে পারত।

    প্রথম সুযোগটা দিয়েছিলেন রাহানে। পয়েন্ট বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়েছিলেন অজিঙ্কা রাহানে, সাব্বির অনেকটা দৌড়ে এসে ক্যাচটা ধরেও ফেলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর হাতে রাখতে পারেননি, রাহানেও ৬২ রানে বেঁচে গেছেন। রাহানে অবশ্য এর পর ইনিংসটা খুব বেশি বড় করতে পারেনি। ৮২ রানে তাইজুলের বলে আউট হয়েছেন। সেটার জন্য অবশ্য মেহেদী হাসান মিরাজের অবদানটা আরও বেশি। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাব্বিরকে এনে দিয়েছেন একটু স্বস্তি।

    ততক্ষণে অবশ্য কোহলির সঙ্গে ২০০র বেশি রান উঠে গেছে। সকালে তাসকিন আর সাকিবের ওপর দিয়েই বেশি ঝড় গেছে, কোহলি-রাহানে তখন রান তুলেছেন অনায়াসে।

    তবে রাহানের আউটের পরও বাংলাদেশ সুযোগ পেয়েছে আরও। মিরাজের এক ওভারে ভালো একটা এলবিডব্লুর আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন আম্পায়ার, মুশফিকও সেটা রিভিউ করেননি। এক ওভার বলেই মিরাজের বল লাগল কোহলির প্যাডে, এবার আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। কোহলি রিভিউ নিলেন, রিপ্লেতে দেখা গেল বল স্টাম্প মিস করছে। বেঁচে গেলেন ভারত অধিনায়ক।

    তবে পরের ওভারে ঋদ্ধিমান সাহাও যেভাবে জীবন পেলেন, সেটা বাংলাদেশের জন্য আক্ষেপের সঙ্গে লজ্জারও। তাইজুলের বলটা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। কিন্তু ব্যাট গলে বলটা মুশফিকের গ্লাভসে জমা পড়ে, বাংলাদেশ অধিনায়কের জন্য তখন স্টাম্পিং করতে না পারাটাই বিস্ময়ের। কিন্তু কীভাবে যেন সেই কঠিন কাজটাই করে ফেললেন, দুই বারের চেষ্টায়ও বল স্টাম্পে লাগাতে পারলেন না।এই সেশনে রাহানের উইকেটটাই একমাত্র প্রাপ্তি হয়ে আছে বাংলাদেশের।