• ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    মুশফিকের অনন্য কীর্তিতেও আক্ষেপ

    মুশফিকের অনন্য কীর্তিতেও আক্ষেপ    

    স্কোর (চতুর্থ দিন, লাঞ্চ)

    ভারত ১ম ইনিংস ১৬৬ ওভারে ৬৮৭/৬

    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ১২৭.৫ ওভারে ৩৮৮ (মুশফিক ১২৭, সাকিব ৮২, মেহেদী ৫১, তাইজুল ১০, তাসকিন ৮, রাব্বি ০*; যাদব ৩/৮৪, জাদেজা ২/৭০)

    ভারত ২য় ইনিংস ১ ওভারে ১


    সকালের শুরুটা এর চেয়ে খারাপ হতে পারত না । দিনের চতুর্থ বলেই মিরাজ ফিরে যাওয়ার পর প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল, বাংলাদেশের ফলো অন এড়ানো হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত সেটা অবশ্য হয়নি, তার আগে সেঞ্চুরি পেয়ে মুশফিকও করে ফেলেছেন অনন্য এক কীর্তি। তবে এই টেস্টে এখনো বাংলাদেশ ৩০০ রানে পিছিয়ে। কঠিন হয়ে আসা উইকেটে ব্যাট করতে হবে শেষ দিন। পরাজয় এড়াতে হলে এখনও অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হবে বাংলাদেশকে।

    দিনের প্রথম তিন বলেই মিরাজকে ভুগিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। চতুর্থ বলটা রিভার্স সুইং হলো, মিরাজের ব্যাট-প্যাড গলে স্টাম্প ছত্রখান। আগের দিনের সঙ্গে কোনো রান যোগ না করেই ফিরে গেলেন মিরাজ। শুরু হলো টেল এন্ডারদের নিয়ে মুশফিকের সংগ্রাম।

    তাইজুলের সঙ্গে জুটিতে অবশ্য মুশফিক তুলনামূলকভাবে বেশি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। দুজনের প্রায় ৯ ওভারের জুটিতে তাইজুল খেলেছেন ছয় ওভারের বেশি। দুই অঙ্কও ছুঁয়ে ফেলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত উমেশ যাদবের শর্ট বল তাঁর গ্লাভসে লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপারের হাতে।

    এর পরেই মুশফিক একটু গা ঝাড়া দিয়ে উঠলেন। ইশান্ত শর্মাকে ছয় মেরে পৌঁছালেন নব্বইয়ের ঘরে, যাদবকে চার মেরে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেললেন। এর আগে অধিনায়কত্বের প্রথম টেস্টেই শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। এবার সেটা পেয়ে গেলেন ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্টেই। টেস্ট ইতিহাসেই কোনো অধিনায়ক উইকেটকিপারের এই চার দেশে সেঞ্চুরি নেই। আর সেটা যখন শুধু উইকেটকিপারের ভূমিকায়, সেখানেও মুশফিকের সঙ্গী শুধু অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।

     

     

    তাসকিনকেও ভাগ্য সঙ্গ দিচ্ছিল, অশ্বিনের এক ওভারে জোরালো দুই আবেদন থেকে পারও পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে জাদেজার পরের ওভারেই ক্যাচ তুলে দিলেন স্লিপে। এবারও দুজনের ১০ ওভারের বেশি জুটিতে তাসকিন খেলেছেন ছয় ওভারের কাছাকাছি।

    শেষ ব্যাটসম্যান কামরুলকে নিয়ে আর বেশিদূর এগুতে পারেননি মুশফিক। রান তোলার চেষ্টাটা তখন ভালোমতোই করছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, অশ্বিনের বলে ডাউন দ্য উইকেটে দারুণ একটা চারও মেরেছিলেন। কিন্তু উইকেটের পেছনে শট খেলতে গিয়ে গ্লাভসে লেগে ক্যাচ দেন উইকেটকিপার ঋদ্ধিমানকে। টেস্ট ইতিহাসের দ্রুততম বোলার (৪৫ টেস্ট) হিসেবে অশ্বিনের ২৫০ উইকেটও হয়ে গেল তাতে।